দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে আগামী ৫ অক্টোবর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিঁয়াজো ফোরাম। রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে সমাবেশের ডাক দেন শিক্ষক নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মুজিববর্ষকে অবিস্মরণীয় ও চির-অম্লান করে রাখতে ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবসে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ ঘোষণার দাবিতে শিক্ষক সমাবেশ সফলভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বাশিস) কেন্দ্রীয় সভাপতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিঁয়াজো ফোরামের মুখপাত্র মো. নজরুল ইসলাম রনি বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিব মো. মেজবাহুল ইসলাম প্রিন্স সারাদেশের শিক্ষকদের সমাবেশে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয়করণের এক দফা দাবি জানিয়ে বলা হয়, “বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাদর্শন, করতে হবে জাতীয়করণ’ এই স্লোগান নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে লাখো শিক্ষকের সমাবেশ করা হবে। দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের ঘোষণার দাবি জানিয়ে বলা হয়, মুজিববর্ষে জাতীয়করণের ঘোষণা দিতে হবে। পর্যায়ক্রমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করতে হবে।
শিক্ষকদের দুর্ভোগের কথা উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা জানানো হয়, বেতন, বাড়িভাড়া ও চিকিৎসাভাতা ছাড়া বছরে দুটি উৎসবভাতা পান শিক্ষকরা। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত কর্মচারীরা দুটি উৎসব ভাতা পান বেতনের ৫০ শতাংশ। অথচ সরকারি শিক্ষকরা উৎসবভাতা পান মূল বেতনের সমান। আর ২০১৯ সাল থেকে বেসরকারি শিক্ষকরা বৈশাখী ভাতা পান সরকারি শিক্ষকের সমান ২০ শতাংশ। এই বৈষম্য একই প্রতিষ্ঠানে চলছে বছরের পর বছর।
বেসরকারি কলেজের অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকরা দীর্ঘ ২৮ বছরেও এমপিওভুক্ত হতে পারেনি। এছাড়াও এমপিওভুক্তি প্রক্রিয়া সরকারের জন্য অলাভজনক ও শিক্ষক-কর্মচারীদের ভোগান্তির পদ্ধতি। এতে শিক্ষাবান্ধব সরকারের ভাবমূর্তি দারুণভাবে ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। তাই জাতীয়করণ এখন সময়ের দাবী এবং তা বঙ্গবন্ধু কন্যার হাত দিয়েই সম্ভব।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বাশিস)প্রধান উপদেষ্টা সাঈদুল হোসেন সাহেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ফজর আলী, শিক্ষক নেতা মো. আলাউদ্দিন ভূইয়া, মো. বজলুর রহমান, শাহনাজ সুলতানা, বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের (দেলোয়ার) প্রতিষ্ঠাতা আফজালুর রশিদ, বাংলাদেশ শিক্ষক-কর্মচারী মঞ্চের মহাসচিব আবুল বাশার নাদিম, বাংলাদেশ বেসকারি কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মজিবুর রহমান ও মহাসচিব বদরুজ্জামান বাদল, বাংলাদেশ বেসরকারি অনার্স মাস্টার্স শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মোড়ল, মাধ্যমিক কারিগরি শিক্ষক পরিষদের মহাসচিব প্রকৌশলী আবুল বাশার, বাশিসের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব মো নাসির আহমেদ, যুগ্ম-মহাসচিব মো. মনসুর ইকবাল, সাহেদুল ইসলাম, প্রদীপ কুমার দেবনাথ, বাশিসের সহকারি মহাসচিব মো. মঈনুল ইসলাম, সহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হান্নান সরদার, প্রচার সম্পাদক এ বি সিদ্দিক, অর্থ সম্পাদক মো. শামসুল হক তরফদার, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান, সমাজকল্যাণ সম্পাদক খান মো. মামুন হোসাইন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ইয়াসমিন বেগম, আইন বিষয়ক সম্পাদক এম এ মতিনসহ অন্যান্য শিক্ষক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য