ফরিদপুরের সালথায় মাহে রমজান উপলক্ষে মরহুম আলহাজ্ব আব্দুর রহমান মোল্লার স্মরণে আন-নুসরাহ তরুন যুব সংঘের আয়োজনে ‘ঐশীবাণী পবিত্র কুরআনের আলো’ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া কোমলমতি হাফেজদের নিয়ে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের কিত্তা গ্রামের আব্দুর রহমান হাফিজিয়া মাদ্রাসায় ক-গ্রুপ ২০পারা, খ-গ্রুপ ১০পারা, গ-গ্রুপ ৫পারা হিসেবে তিনটি গ্রুপে ভাগ করে শুধু মাত্র সালথা উপজেলার হাফেজদের নিয়ে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় তিন গ্রুপ থেকে ২১ জন হাফেজকে নির্বাচিত করে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন আয়োজক কমিটি। এই প্রতিযোগিতায় যে সকল প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন তাদেরকেও শান্তনামূলক পুরস্কার প্রদান করা হয়। এছাড়া সালথা উপজেলার ৮৪ টি মসজিদের ইমামকে একটি করে ইসলামিক বই উপহার দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বাহিরদিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আকরাম আলী (ধলা হুজুর) সাহেবের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক হাচান আশরাফ, বাহিরদিয়া মাদ্রাসার নায়েবে আমির মুফতি ইমরান হোসাইন, মুহাদ্দিস মাদরাসা দারুর রাশাদের হাদিস ও ইতিহাস গবেষক মাওলানা এনামুল করীম ইমাম, সালথা বাজার মসজিদের ইমাম আব্দুল হান্নান, সালথা মডেল মসজিদের ইমাম মুফতি রবিউল ইসলাম, সালথা উপজেলা পরিষদ মসজিদের ইমাম মুফতি মফিজুর রহমান, আন-নুসরাহ তরুন যুব সংঘের প্রধান উপদেষ্টা মুফতি সালাহ উদ্দিন সিদ্দিকী, সভাপতি মুফতি মনিরুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নুরে আলম, কোন্দারদিয়া মাদ্রাসার সহকারি মৌলভী সায়েদুর রহমান সহ ওলামায়ে কেরামগণ।
অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতা করেছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক হাচান আশরাফ ও ঐশীবাণী পবিত্র কুরআনের আলো ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান।
এ সময় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক হাচান আশরাফ বলেন, পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে আমার পিতা মরহুম আলহাজ্ব আব্দুর রহমান মোল্লার স্মরণে সালথা উপজেলার হাফেজদের নিয়ে আমরা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। পবিত্র কোরআন আমাদের সঠিক পথ চলার একমাত্র পাথেয়। কোরআন বিস্তৃতি ব্যাপক। কোরআন মুখস্থ করা সহজ নয়। কিন্তু আমাদের কোমলমতি সন্তানেরা অল্প বয়সে পবিত্র কোরআন মুখস্থ করে নিজেদের আয়ত্বে নিচ্ছেন। নবীন হাফেজদের কোরআন তেলওয়াতে আমি মুগ্ধ হলাম।
তিনি আরও বলেন, কোরআন তেলওয়াত হবে মহান আল্লাহ তালার সন্তুষ্টির জন্য। প্রতিযোগিতায় সকলে জয়ী হবে না। যারা পিছিয়ে আছে তাদেরকে আগামী দিনের জন্য বেশি করে পড়তে হবে। তাহলে কোরআন আয়ত্বে আনা সম্ভব হবে। এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা আগামীতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেব। তারা সালথা তথা বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে পারবে। এরা শুধু সালথা উপজেলারনা জেলার সুনাম তাদের মাধ্যমে ধরে রাখা সম্ভব। আমরা প্রতি বছর মরহুম আলহাজ্ব আব্দুর রহমান মোল্লার স্মরণে‘ঐশীবাণী পবিত্র কুরআনের আলো’প্রতিযোগিতা অব্যাহত রাখবো।
মন্তব্য