শনিবার (১০ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে এই ভোটগ্রহণ। তবে কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম। বেলা বাড়লেও ভোটকেন্দ্রে বাড়ছে না ভোটারদের উপস্থিতি।
এ দিকে, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা নওয়াবুল ইসলাম।
তিনি জানান, নির্বাচনে যেকোনো প্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মোকাবিলায় পর্যাপ্ত পরিমাণ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে মাঠে রয়েছেন। এছাড়া চার প্লাটুন বিজিবি ছাড়াও র্যাবের একাধিক টিম ও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কোথাও কোন প্রকার অব্যবস্থাপনা বা আইনশৃঙ্খলার অবনতির কোন তথ্য পাওয়ামাত্র তিনি সংশ্লিষ্টদের অবগত করানোর জন্য অনুরোধ জানান।
অন্যদিকে, চরভদ্রাসন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট বাক্সে সিল মারা ব্যালট পাওয়া যাওয়ায় ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা নওয়াবুল ইসলাম এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ভোট গ্রহণ শুরুর আগেই ভোট বাক্সে সিল মারা ব্যালট পাওয়ায় ওই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।
প্রথমদিকে এই নির্বাচনে মোট সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। কিন্তু এরই মধ্যে দুইজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের পক্ষ থেকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন প্রকার অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
এ দিকে, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চরভদ্রাসন উপজেলায় সর্বশেষ তালিকা অনুযায়ী ৫৬ হাজার ৯৪৩ জন ভোটার রয়েছেন। যাদের মধ্যে ২৮ হাজার ১৬ জন পুরুষ ও ২৮ হাজার ৯২৭ জন নারী। এর মধ্যে চরভদ্রাসন সদর ইউনিয়নে ২২ হাজার ৯৭৭ জন, গাজীরটেকে ১৯ হাজার ১৭৬ জন, চর হরিরামপুরে ১১ হাজার ১১৪ জন ও চর ঝাউকান্দায় ৩ হাজার ৬৭৬ জন ভোটার রয়েছেন। পাশাপাশি এবার ২২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৫ অক্টোবর চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মুশার মৃত্যুজনিত কারণে পদটি শূন্য হয়। এরপর গত ২৩ মার্চ এই নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ছিল। তবে করোনা মহামারির কারণে সেসময় নির্বাচন স্থগিত করা হয়।
মন্তব্য