সালথায় অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে তিনজন গ্রেপ্তার

  • আবু নাসের হুসাইন, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি :
  • রবিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২০ ১০:১৯:০০
  • কপি লিঙ্ক

ফরিদপুরের সালথায় এক তরুনীকে (১৮) কৌশলে উঠিয়ে নিয়ে টানা ৫ দিন ধর্ষণের পর নিজেকে বাঁচাতে ভুয়া বিয়ে করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে গতকাল রবিবার সালথা থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা করেছেন ওই তরুণীর বাবা। ধর্ষক ও ভ‚য়াকাজীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মামলার এজাহার ও ধর্ষিতার পরিবারের লোকজনদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ওই তরুণীর বাড়ি উপজেলার একটি ইউনিয়নে। সম্প্রতি মুঠোফোনে ওই তরুণীর সাথে একই উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের খারদিয়া গ্রামের এনায়েত হোসেন মৃধা (৪২) এর পরিচয় হয়। গত ২ অক্টোবর বিকালে ওই তরুণীকে  স্থানীয় বাহিরদিয়া বাজার এলাকা থেকে কৌশলে গাড়িতে উঠিয়ে ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় নিয়ে যায় এনায়েত। সেখানে বাসা ভাড়া নিয়ে ওই তরুণীকে বিয়ে প্রলোভন দেখিয়ে টানা ৫ দিনে একাধিকবার ধর্ষণ করে এনায়েত। এরপর ধর্ষণের অভিযোগ থেকে নিজেকে বাঁচাতে গত ৮ অক্টোবর ঢাকার আশুলিয়া থেকে সালথার পাশ^বর্তী বোয়ালমারীতে উপজেলায় এসে এক ব্যাক্তিকে ভ‚য়া কাজী ও ওই কাজীর ভাইকে ভুয়া স্বাক্ষী বানিয়ে তরুণীর কাছ থেকে সু-কৌশলে স্বাক্ষর নিয়ে একটি সাজানো কাবিননামা তৈরী করেন এনায়েত। পরে তারা স্বামী-স্ত্রী সেজে বাড়িতে আসেন। বাড়ি আসার পর ওই তরুণীকে তার বাবার বাড়িতে দিয়ে আসে এনায়েতের পরিবার।

মো. এনায়েত হোসেন মৃধা একজন মাংস ব্যবসায়ী। তিনি এ পর্যন্ত অন্তত ৫টি বিয়ে করেছেন। তার প্রত্যেক স্ত্রীরই ছেলে-মেয়ে রয়েছে। 

সালথা থানার পুলিশ রবিবার সকালে প্রথমে এনায়েতকে গ্রেপ্তার করে বোয়লমারী উপজেলার ময়েনদিয়া বাজার এলাকা থেকে। পরে তার দেওয়ার তথ্য অনুযায়ী বোয়ালমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের চালিনগর গ্রাম থেকে কথিত কাজী বছিরুল ইসলাম বাছীর (৪০) ও তার ভাই হোসাইন মোল্লা (২৭)কে গ্রেপ্তার করে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, ওই তরুণীর সাথে মুঠোফোন পরিচয় হয় এনায়েতের। এর আগে সে এনায়েতকে দেখেনি বা তার সম্পর্কে কিছু জানতো না। তিনি বলেন, মামলা হওয়ার পর এনায়েত, কথিত কাজী ও ‘কাবিননামায়’ স্বাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর দানকারী কাজীর ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বলেন, কথিত ওই কাবিননামায় স্বাক্ষী হিসেবে আরও দুইজনের নাম রয়েছে তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

মন্তব্য