ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৃথক স্থান থেকে দুই নারীর মৃত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আলগী ইউনিয়ন এর বড়দিয়া গ্রামের থেকে আলোমতি (৬০) নামক এক গৃহবধুর লাশ গতকাল রবিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উদ্ধার করা হয়। তিনি ওই গ্রামের আব্দুল হক শেখের স্ত্রী এবং ৪ ছেলে ও দুই মেয়ের জননী।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রবিবার ভোরে ফজরের নামাজের জন্য ঘর থেকে বের হন আলোমতি বিবি। এসময় তার ছেলে ফোরকান শেখের স্ত্রী আদুরী বেগম কিছু সময় পর ঘর থেকে বেড়িয়ে পুকুর ঘাটে যাওয়ার পথে ঘরের পিছনে বাঁশ বাগানে ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় শাশুড়িকে দেখতে পেয়ে চিৎকার করে। তার চিতকার শুনে বাড়ির অন্য লোকজন এগিয়ে আসে। বাড়ির লোকজন ঝুলন্ত অবস্থায় মৃত দেখতে পায়। গ্রামের লোকজন ভাঙ্গা থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ আলোমতির মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠায়। স্বামী আব্দুল শেখ জানান, তার স্ত্রী দীর্ঘদিন যাবত মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন এবং এর আগেও কয়েক বার আত্মহত্যা চেষ্টা চালায় বলেও জানান।
অপরদিকে ভাঙ্গা থানা পুলিশ শনিবার এনি আক্তার (২২) নামক এক প্রতিবন্ধী নারীর লাশ ভাঙ্গা উপজেলার নাসিরাবাদ ইউনিয়নের বালিয়াহাটি গ্রামের একটি পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করেছে। তিনি ওই গ্রামের রনি ব্যাপারীর মেয়ে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, এনি আক্তার গত ১৫ ই নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। বাড়ির লোকজন তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোথাও পায়নি। শনিবার দুপুরে তার লাশ বাড়ির সামনে একটি পুকুরে ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দিলে থানা পুলিশকে শনিবার বিকেলে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠায়। তিনি দীর্ঘদিন মৃগী রোগে ভুগছিলেন বলে জানা গেছে।
ভাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক মশিউর রহমান জানান, উপজেলার আলগী ইউনিয়নের বড়দিয়া গ্রাম থেকে এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, ওই মহিলা মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। এছাড়াও ভাঙ্গার নাসিরাবাদ ইউনিয়নের বালিয়া হাটি এলাকারএকটি পুকুর থেকে এক নারীর ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য