ফরিদপুরের সালথায় এক রাতে দুটি বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতদল উভয় বাড়ির পরিবারের সদস্যদের হাত-পা বেঁধে জিম্বি করে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে যায়।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের হরিণা গ্রামের সাইফুর মোল্যা ও সোনাপুর ইউনিয়নের হোগলাকান্দী গ্রামের হাফেজ আতিকুর রহমান তালুকদারের বাড়িতে পৃথক এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে আজ মঙ্গলবার সকালে উভয় বাড়ি পরিদর্শন করেন পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার জানান, সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে হরিণা গ্রামের সাইফুর মোল্যার একতলা ভবনের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ৭-৮ জনের একদল মুখোশধারী ডাকাত।
ডাকাতদলের সদস্যরা ঘরে প্রবেশ করে প্রথমে সাইফুর রহমান ও তার স্ত্রীকে ওনড়া দিয়ে বেঁধে লেপের নিচে ঢেকে রাখে। পরে ঘরে থাকা কাঠের একটি আলমারী ভেঙে ১৫ ভরি ওজনের স্বর্ণের জিনিস, দুটি মোবাইল ফোন ও নগদ একলাখ টাকা লুটে নেয় ।
অপরদিকে একই রাত ৩টার দিকে হোগলাকান্দী গ্রামের হাফেজ আতিকুর রহমান তালুকদারের বাড়িতে একই কায়দায় ওয়াল করা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ৭-৮ জনের একদল মুখোশধারী ডাকাত। ডাকাতরা আতিকুর রহমান, তার স্ত্রী শাহিনা বেগম, ছেলে শাহাবুদ্দিন ও ছেলের স্ত্রী তাসলিমা বেগমকে ওড়না-গামছা দিয়ে বেঁধে রাখে। পরে ঘরে থাকা কাঠের আলমারী, স্টিলের শোকেজ ও বাক্স ভেঙ্গে প্রায় ৩ ভরি ওজনের স্বর্ণের জিনিস, ৬টি মোবাইল ফোন ও নগদ ২৩ হাজার টাকা লুটে নেয়।
ক্ষতিগ্রস্ত উভয় পরিবারের সদস্যরা বলেন, ডাকাতদলের সদস্যদের পড়নে ছিল আন্ডারওয়ার, লুঙ্গী পরা (কাঁছা দেওয়া অবস্থায়), হাফপ্যান্ট। তারা সবাই স্থানীয় ভাষায় কথা বলেছে। সবার বয়স ৩০ থেকে ৩৫ বছর করে হবে। ডাকাতরা ঘরে প্রবেশের পর ঘন্টাব্যাপী তান্ডব চালালেও উভয় পরিবারের সদস্যদের কাউকে মারধর বা জখম করেনি।
ডাকাতির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল নগরকান্দা) মো. আসাদুজ্জামান শাকিল বলেন, খবর পেয়ে রাতেই উভয় বাড়িতে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়।মঙ্গলবার সকালে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা, আমি ও সালথা থানার ওসি মোহাম্মাদ ফায়েজুর রহমান উভয় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। ধারনা করা হচ্ছে একই ডাকাতদল উভয় বাড়িতে হানা দিয়ে লুটতারাজ চালিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা উভয় ডাকাতির একটি টিম গঠন করেছি। ইতিমধ্যে ডাকাতদের গ্রেপ্তারে ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা শুরু করেছি। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাকাতদের আইনের আওতায় আনতে পারবো।
মন্তব্য