ফুটবলের মাঠে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে ট্যাকেল করা অতি সাধারণ একটি দৃশ্য। কিন্তু মাঝেমধ্যে এই ট্যাকেল রূপ নেয় ভয়ানক দুর্ঘটনায়, যা কিনা পুরো ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে পারে একজন ফুটবলারের।
ফুটবলের তুখোড়ভক্তরা বাজে ইনজুরির আলোচনা করতেই শুরুতেই তুলবেন ২০১৪ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিল বনাম কলম্বিয়ার ম্যাচটির কথা। তোলাটাই স্বাভাবিক। কলম্বিয়ার জুয়ান জুনিগার হাঁটুর গুতোয় মেরুদণ্ডে গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার। আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে ক্যারিয়ারটা শেষ হয়ে যাওয়ার শঙ্কা জেগেছিল নেইমারের।
নেইমারের ভাগ্য সেবার সহায় ছিল। যেভাবে জুয়ান জুনিগার হাঁটু দিয়ে মেরেছিলেন নেইমারের পিঠে, তাতে মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা ছিল। ভাগ্য সহায় হওয়ায় সেই যাত্রায় বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি।
সেই চোট কাটিয়ে উঠলেও দুঃসহ সেই স্মৃতি খোদ নেইমারই হয়তো কোনোদিন ভুলতে পারবেন না। গেল বছর কাতার বিশ্বকাপেও বাজে ট্যাকেলের শিকার হন ব্রাজিলিয়ান এই তারকা। সার্বিয়ার বিপক্ষে নিজেদের গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে ৯ বার ফাউলের শিকার হয়েছিলেন নেইমার। শেষ পর্যন্ত তো পাই মচকে গিয়েছিল ব্রাজিলিয়ান এই তারকার।
নেইমারের মতো এমনই এক দুঃসহ অভিজ্ঞতা এবারে সঙ্গী হয়েছে আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডার লুসিয়ানো সানচেসের। রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক তারকা মার্সেলোর ট্যাকেলে বাজেভাবে ভেঙেছে লুসিয়ানোর পা। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার (১ জুলাই) কোপা লিবার্তাদোরেসের এক ম্যাচে।
টুর্নামেন্টের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ব্রাজিলের ফ্লুমিনেন্স ও আর্জেন্টিনার আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্স ম্যাচের ৫৫ মিনিটে ঘটে এই ভয়ানক দুর্ঘটনা। বল কাটানোর সময় মার্সেলোর দিকে পা বাড়িয়ে দেন লুসিয়ানো। এ সময় মার্সেলোর পা গিয়ে পরে লুসিয়ানোর বাড়িয়ে দেয়া পায়ের ওপর।
বেকায়দায় থাকা লুসিয়ানোর পা চোখের পলকে হাঁটু থেকে ভেঙে উল্টিয়ে যায় সঙ্গে সঙ্গেই। মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকেন ২৯ বছর বয়সী এই ফুটবলার। এই দৃশ্য দেখে হতব্যাক হয়ে যান মার্সেলো। লুসিয়ানোর পায়ের কাছে বসে ভেঙে পড়েন কান্নায়।
এই ট্যাকেলের ফলে লাল কার্ড দেখতে হয় মার্সেলোকে। ভয়ানক এক অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়ে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়েন তিনি।
মন্তব্য