মাদারীপুরের শিবচরে এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে চার দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পরে ভুক্তভোগীর পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে অসুস্থ অবস্থায় ভুক্তভোগীকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, ২৮ আগস্ট দুপুরে ফোন করে ওই কিশোরীকে ডেকে নেয় শিবচরের সন্ন্যাসীরচর এলাকার রুহুল আমিনের ছেলে রাতুল। পরে বাখরেরকান্দি এলাকার একটি ঘরে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে। মেয়েটিকে পরিবার খোঁজাখুঁজি শুরু করলে এক পর্যায়ে ৩১ আগস্ট রাতে বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায় রাতুলের পরিবারের লোকজন। এরপর থেকেই ভুক্তভোগীর পরিবারকে দফায় দফায় হুমকি দিতে থাকে তারা।
ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, পুরো ঘটনায় রাতুলের চাচা খায়রুল আমিন সহযোগিতা করেছেন। এর সুষ্ঠু বিচার চাই। মেয়েটির ভবিষ্যৎ নষ্ট করেছে তারা। থানায় গিয়েছিলাম সেখান থেকে কোনো পাত্তা দেয়নি, এলাকার মাদবররাও এর বিচার করেনি। গরিব মানুষের কি কোথায়ও বিচার নেই?
মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার রিয়াদ মাহমুদ বলেন, ওই কিশোরীকে ভর্তি করে দিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গাইনি চিকিৎসক তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন। প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেলে পাঠানো হতে পারে।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুল হাসান জানান, নির্যাতিতার বাবাকে থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য