ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ ৫৯ জনের নামে মামলা করেছেন এক বিএনপি নেতা।
রোববার (১০ নভেম্বর) রাত সাড়ে নয়টার দিকে ভাঙ্গা পৌরসভার মধ্যপাড়া হাসামদিয়া মহল্লায় উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন সড়কে এ ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত অবস্থায় একটি ককটেল উদ্ধার করেছে।
এদিকে এ ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ভাঙ্গা, সদরপুর, চরভদ্রাসন নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, ফরিদপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন, ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আসামি করে মামলা করেছেন ভাঙ্গা পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম ওরফে বিটু মুন্সী।
সোমবার (১১ নভেম্বর) ভাঙ্গা পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে এ মামলাটি করেন। মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরীসহ ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ৪০-৫০ জনকে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ভাঙ্গা মহাসড়ক থেকে যে সংযোগ সড়কটি উপজেলা পরিষদের দিকে চলে গেছে সেই সড়কের ফাঁকা জায়গায় এ ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে নয়টার দিকে পরপর তিনটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পিঠা বিক্রেতা জানান, শব্দ শুনে দেখলাম, একটি মোটরসাইকেল করে দুজন লোক এসে তিনটি ককটেল ফাঁটিয়ে দ্রুতগতিতে চলে যায়। এ ঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক ভাবে রোববার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে স্থানীয় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ভাঙ্গা উপজেলা শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল খায়ের শেখ বলেন, রোববার রাতে ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের পাশের সড়কে ককটেল বিস্ফোরণের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনাস্থল থেকে একটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে ভাঙ্গা থানায় একটি মামলা করেছেন ভাঙ্গা পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম।
মন্তব্য