দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃত্ব ধারার বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া ও স্বীয় স্বার্থে বিভিন্ন গণমাধ্যমের কাছে বিবৃতিতে দেওয়ার ঘটনার সূত্রতায় ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কৃষক দলের কমিটি বাতিল ঘোষণা করেছেন জেলা কৃষক দলের সভাপতি ও সাধারণত সম্পাদক।
জেলা কৃষক দলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মো. শহিদুল ইসলাম ও সদস্য সচিব মুরাদ স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ জাতীয় তাবাদী কৃষক দলের জেলা শাখার সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে বাংলা দেশ কৃষক দল ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলা ও পৌর শাখার সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল না থাকায় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো।
উল্লেখ থাকে যে, সম্প্রীতি ইতালিতে যাওয়ার পথে লিবিয়া গেমঘরে ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালি গ্রামের দুই যুবক মাফিয়া চক্রের গুলিতে নিহত হন। লিবিয়ার দুই দালাল একই গ্রামের বসতি।
ওই দুই যুবকের মৃত্যুর ঘটনা ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু'পক্ষের সংঘাতে বাড়ি ভাংচুর করার পাশাপাশি মহিলাসহ কমপক্ষে ২৫জন আহত হয়।
সংঘর্ষের মূলহোতা ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন এমপির আস্থাভাজন নিরু খলিফা ও তার লোকজন। কিন্তু বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ পায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘাত। মুলত সংঘটিত সংঘর্ষ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের।
কিন্তু সদ্য বিলুপ্ত ঘোষণার ভাঙ্গা উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি সাঈদ মুন্সী ওই ঘটনায় গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে বলেন, বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা ও ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব খন্দকার ইকবাল হোসেন সেলিম সমর্থিত নেতাকর্মীরা মিলে তার কৃষক দলের ইউনিয়ন নেতা কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে।
গণমাধ্যমে ভাঙ্গা উপজেলা কৃষক দলের সভাপতির এমন বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়াছড়িতে বিষয়টি জেলা ও উপজেলা বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী ও তৃণমূল পর্যায়ের কর্মীদের মধ্যে চরম প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
এদিকে আজ রাতে ভাঙ্গা উপজেলা কৃষকদলের কমিটির সভাপতি ( বিলুপ্ত ঘোষণা কমিটি) সাঈদ মুন্সী থানা রোডের কৃষক দলের অফিসে রাত সাড়ে ৭টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলন করার কয়েক ঘন্টা পার হতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ভাঙ্গা উপজেলার কৃষক দলের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা।
এবিষয়ে সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাবেক সভাপতি সাঈদ মুন্সী বলেন, আমি জেলা কমিটির সিদ্ধান্তর প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে বলছি শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শে উজ্জীবীত একজন কর্মী হিসেবে আগামী দিনেও নিজেকে সচেষ্ট রাখবো।
ভাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব খন্দকার ইকবাল হোসেন সেলিম মোবাইল ফোনে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করা একটি চরম অপরাধ। কৃষকদলের নাম ভাঙিয়ে স্বেচ্ছাচারিতার ভূমিকা পালন করার পাশাপাশি সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি গং মিলে শহরের বুক জুড়ে কেন্দ্রীয় ও উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে আসছিল। এটা দলের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের কারো কাম্য নয়। দলের সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত সীদ্ধান্তর প্রতি তিনি শ্রদ্ধাশীল বলে জানান।
বাংলাদেশ জমিন/সংবাদটি শেয়ার করুন
মন্তব্য