রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার তাজমহল রোড, জেনেভা ক্যাম্প, বসিলাসহ আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের ১০ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনাল টিম।
গ্রেফতাররা হলো মো. রাজা, মো. জালাল, মো. মৃদুল, মো. জাহাঙ্গীর, মো. শামিম মিয়া, মো. শহিদ, মো. শিমুল, মো. মনিরুল ইসলাম, মো. সোহেল খান ও নুর মোহাম্মদ। গ্রেফতার প্রত্যেকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে রাজার বিরুদ্ধে ১১টি মামলা ও মৃদুলের বিরুদ্ধে চারটি মামলা রয়েছে।
ডিবি বলছে, গ্রেফতাররা ভাগ হয়ে মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ করতো। শুধু কিশোর গ্যাং নয় তাদের বড় ভাইদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে এসব কথা জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, রাজধানীর উত্তরা ও মোহাম্মদপুরে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা বেশ সক্রিয়। এসব গ্রুপের সদস্যরা চুরি-ছিনতাই ও ইভটিজিংসহ নানান অপরাধে জড়িত। তাদের কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। গোয়েন্দা পুলিশের কাছে অনেকেই অভিযোগ করছেন। এসব কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য দিনে-দুপুরে গাড়ি থেকে মোবাইল টান দিয়ে নিয়ে যায়।
হারুন অর রশীদ বলেন, তারা উঠতি বয়সী মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে ডিবির তেজগাঁও বিভাগ বুধবার অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের ১০ সদস্যকে গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে বেশকিছু দেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
এই অতিরিক্ত কমিশনার আরও বলেন, এই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা পৃথক দলে ভাগ হয়ে ছিনতাই করতো। দীর্ঘদিন ধরে কিছু বড় ভাইয়ের নেতৃত্বে তারা এই কাজ করতো। বিশেষ করে রাতের বেলা চাপাতি দিয়ে ভয় দেখিয়ে ছিনতাই করে। তারা ছিনতাইয়ের জন্য লেগুন ব্যবহার করে। লেগুনা চালক ও হেলপারও তাদের সঙ্গে জড়িত।
‘আমরা বেশ কয়েকজন বড় ভাইয়ের নাম পেয়েছি। তারা যে দলেরই হোক না কেনো তাদের ছাড় দেওয়া হবে না,’- বলেন তিনি।
ডিবিপ্রধান বলেন, কিশোর গ্যাং ও ইভটিজারদের বিরুদ্ধে রাজধানীর প্রতিটি এলাকায় ডিবির অভিযান চলবে। ছিনতাইকারী ও বড় ভাইদের সম্পর্কে কোনো তথ্য থাকলে গোয়েন্দা পুলিশকে জানানোর অনুরোধ করছি।
মন্তব্য