সাধা লক্ষ্মী পায়ে ঠেলতে নেই

  • রিতা রায় মিঠু
  • রবিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২০ ০৯:২৮:০০
  • কপি লিঙ্ক

ড. বিজন কুমার শীল স্বাধীনতা পদক পাননি, একুশে পদক পাননি ঠিকই, তাতে উনার মেধা চর্চায় কোথাও কোন ঘাটতি দেখা দেয়নি।

ড. শীল অত্যন্ত মেধাবী বিজ্ঞানী, দেশের সেরা সন্তান। উনি ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্যের হয়ে করোনা টেস্ট কিটস তৈরি করেছেন। এখন অপেক্ষা সরকারি অনুমোদন। তৃতীয় কোন পক্ষ যদি ল্যাবে এই কিটস পরীক্ষা করে এর সঠিক কার্যকারিতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়, তবেই সরকার তা অনুমোদন করবে।

সরকারি অনুমোদন নিয়ে এই টেস্ট কিটস বাজারে এলে আমাদের দেশের জনগণ উপকৃত হবে। স্বল্প মূল্যে কেনা কিটস দিয়েই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও মানুষ ঘরে বসেই করোনা পজিটিভ নিগেটিভ টেস্ট করতে পারবে, এন্টিবডি টেস্টও করতে পারবে।

ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী বার বার সরকারের কাছে অনুরোধ করছেন, কিটসের কার্যকারিতা পরীক্ষা করিয়ে দেখতে।

উনি টিভি চ্যানেলে সকলকে সাক্ষী রেখেই বার বার বলছেন, “আমাদের জিনিস আমরা ভালো বলব। আমরা পরীক্ষা করে সুফল পেয়েছি। কিন্তু সরকারের অনুমোদন ছাড়া কিটস বাজারে ছাড়া যাবে না। আমাদের কিটসগুলো পরীক্ষা করিয়ে দেখুন, তৃতীয় পক্ষ দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে দেখুন, যদি পরীক্ষায় সুফল আসে, সরকার অনুমোদন করে তবেই আমরা তা মাস স্কেলে উৎপাদন করব।”

কিন্তু আইনি জটিলতা দেখিয়ে, ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রতি বিরূপতা দেখিয়ে ডঃ শীলের জনকল্যাণকর এই সৃষ্টিকে দূরে ঠেলে দেয়া হচ্ছে!

আজ ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী বিজ্ঞানী ডঃ শীলের আবিষ্কৃত করোনা টেস্ট কিটস তৃতীয় পক্ষ দ্বারা পরীক্ষার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দিয়েছেন। অথচ সরকারি ওষুধ শিল্প প্রতিষ্ঠানের কোন প্রতিনিধি অনুষ্ঠানে আসেননি।

নিজের সৃষ্টির অবমূল্যায়ন কেউই করে না। ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরীও তা হতে দিবেন না। বাংলাদেশের জন্য তৈরি কিটস বাংলাদেশে গৃহীত না হলে, অবশ্যই তিনি তা বিশ্বকল্যাণে বিশ্বের অন্যান্য দেশে প্রেরণ করবেন।

ডঃ শীলের আবিষ্কার সফল হোক, ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রচেষ্টা সার্থক হোক। না হয় ঘরে অবহেলিত হয়ে লক্ষ্মী আমেরিকা ইংল্যান্ড চীন জাপান ঘুরে তবেই ঘরে ফিরুক।

রিতা রায় মিঠু, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী লেখিকা।

 

বাংলাদেশ জমিন/ সংবাদটি শেয়ার করুন
 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

মন্তব্য