ভাঙ্গায় মায়ের সংবাদ সম্মেলন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:০৪:০০
  • কপি লিঙ্ক

কিছুই চাই না শুধু-বেচে থাকার স্পন্দন মেয়েকে ফেরত পেতে চাই। আর্তচিৎকার করছিলেন অপহৃত যুথি রানী মল্লিকের জন্য মা শিউলি রানী মল্লিক। ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার কাউলীবেড়া ইউনিয়নের খাটরা গ্রামের জিতেন মল্লিকের মেয়ে যুথি মল্লিককে একই এলাকার আঁকাববার মোল্লার ছেলে কাওসার মোল্লা বাড়ির সামনে থেকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। নারী ও শিশু নির্যাতন ধারায়  থানায়  মামলা দায়েরের নয়দিন কেটে গেলে যুথি মল্লিকেের সন্ধান না পাওয়ায় উদবিঘ্ন হয়ে ওঠেছেন মল্লিকের পরিবার। 

শনিবার দুপুরে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে মেয়েকে ফেরত পাওয়ার আশায় খাটরা গ্রামের মালোয়শীয়া প্রবাসী জিতেন মল্লিকের সহধর্মীনি শিউলী রানী মল্লিক আবেগঘন পরিবেশে নিজের বক্তব্য এভাবেই বক্তব্য তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, একই গ্রামের প্রতিবেশী আঁকাববার মোল্লার ছেলে কাওসার মোল্লা দীর্ঘদিন ধরে তার মেয়েকে রাস্তাঘাটে চলাচল করার সময় উত্তাক্ত করে আাসছিল। এনিয়ে বিভিন্ন সময়ে ছেলের পরিবারের কাছে অভিযোগ জানালেও তারা সঠিক কোন বিচার পায়নি বলে অভিযোগ করেন।

তিনি আরও বলেন চলতি বছরে মেয়ে যুথি মল্লিক একজন এসএসসি পরীক্ষাথী ছিল। গত ৩ এপ্রিল বিকেলে যুথি রানী মল্লিক বাড়ির থেকে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথে কাওসার মোল্লা ও অজ্ঞাতনামা সহযোগীরা মেয়েকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। সম্ভাব্য সকল জায়গায় মেয়ের খোঁজ খবর নিয়ে না পাওয়ায় ভাঙ্গা থানায় নারী ও  শিশু নির্যাতন ধারায়  মামলা দায়ের করেন। ভাঙ্গা থানা মামলা নাম্বার ৪/৯৯।

 সংবাদ সম্মেলনে মেয়েকে ফেরত পাওয়ার জন্য  শিউলি রানী মল্লিক সরকারের সহযোগীতা কামনার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন নিজের মেয়েকে ফেরত পাওয়ার। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন যুথি মল্লিক পরিবারের স্বজনরা।

অভিযুক্ত কাওসার মোল্লার পরিবারের অভিভাবক ইউপি সদস্য বাবু মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, মেয়ে ও ছেলে দুজনের তারাও খোঁজ করছেন কিন্তু মোবাইলফোন বন্ধ রাখায় সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। তবে নিরপেক্ষ একজন জনপ্রতি হিসেবে আমার বক্তব্য দুটি ছেলে মেয়ের মধ্যে কিছুটা ঘনিষ্ঠতার সূত্রতায় ঘর ছেড়ে পালিয়েগেছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। উভয়কে উদ্ধার করার জন্য পুলিশ ও সক্রিয় রয়েছে এবং উদ্ধার হলে আসল ঘটনা বেড়িয়ে আসবে বলে তিনি জানান। 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাঙ্গা থানার এসআই মিজানুর রহমান জানান, মামলার সূত্রের মোবাইল ফোন নাম্বারের কল লিষ্ট ধরে ছেলে ও মেয়ের অনুসন্ধানের পাশাপাশি বিশেষ মাধ্যমে  মেয়েকে উদ্ধারের কাজ করছে পুলিশ। দ্রুত সময়ের মধ্যে উদ্ধার করা হবে বলে জানান।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

মন্তব্য