বাংলাদেশ জামাতে ইসলাম ঐক্যবদ্ধ শক্তিতে আস্থাভাজন হওয়ায় তারা বিশ্বাস করে গণতন্ত্র ও ফ্যাসিবাদ কখনও একসাথে চলতে পারে না। আলেম মাওলানা রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী হত্যাকারী সরকারের পতনের জন্য গত ১৭ বছর তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ জানানো হয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের লক্ষ্যে। আল্লাহপাকের কাছে দেশের জনগণ চেয়েছিল শেখ হাসিনার পতন কিন্তু আল্লাহ পাক খুশি হয়ে দিলেন শেখ হাসিনার নির্বাসন।
রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবর ২০০৬ স্মরণে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা জামাতে ইসলামী কর্তৃক আয়োজিত মঙ্গলবার বিকেলে ঈদগা মসজিদ মাঠের এক বিশাল জনসভায় কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডক্টর সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সরকার ছিল ফ্যাসিবাদী সরকার উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন অবৈধ ভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকা জনগণের সাথে প্রতারণা এবং জনগণের অর্থ লুটপাট করাই হচ্ছিল জালেম আওয়ামী লীগ সরকারের দোসরদের কাজ।
ক্ষমতায় থেকে আওয়ামী শুধু লুটপাটই করেনি জেনোসাইড রাজনীতি করেছে। তাদের প্রথম জেনসাইড হেফাজতে ইসলামের সেই রাতে অসংখ্য আলেম মাওলানাসহ ইসলামি রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের গুম খুন করেছে। জেনোসাইডের রাজনীতির সংগঠন আওয়ামী লীগের এদেশের মাটিতে রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই। সদন জনগণের মুখে হাসি ফোটাতে এবং ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল চেয়েছিল অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। কিন্তু নির্বাচন না দিয়ে জনগণের সাথে বারবার প্রতারণা করেছে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার।
ডাঃ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আরও বলেন,ফ্যাসিষ্ট হাসিনা সরকার শুধু ক্ষমতাই ছাড়েনি,নির্বাসনেও গিয়েছে। কিন্তু আমরা ও এদেশের জনগণ ১৭ বছর জগদ্দল পাথরের মত বুকের উপর চেপে বসেছিল। বিধাতার কি খেলা প্রধানমন্ত্রী, সংসদ সদস্য,মন্ত্রী,ওসি সহ সবার পালিয়ে যাওয়ার রেকর্ড বিশ্বের ইতিহাসে দ্বিতীয়টি নেই আওয়ামী লীগ সরকারের রাজনৈতিক ভাগ্য গত ৫ই আগস্ট যা ঘটে গেল। ফরিদপুর -৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবর রহমান চৌধুরী নিক্সন প্রসঙ্গে বলেন, তিনি একটি মসজিদ নির্মাণ করেছেন আপনাদের জন্য। কিন্ত অধিকাংশ দুর্ণীতিবাজরা জনগনের অর্থ লুটপাট করে মসজিদ ও জনহিতকর কাজ করেন।
আপনারা সোনার বাংলা দেখেছেন,সবুজ বাংলায় অনেকের শাসনই দেখেছেন। একটিবার না হয় জামায়াতের শাসন দেখুন। এ দলের নেতাকর্মীরা জায়গা, জমি,লুটপাট করেছে এমন নজির কেউ দেখাতে পারবে না কোনদিন। বাংলাদেশ জামাত ইসলাম আল্লাহ রাসুলের প্রতি বিশ্বাস রেখে মানব কল্যাণের রাজনীতি করে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন লগি বৈঠার তাণ্ডবের হুকুমদাতা হিসেবে স্বৈরাচারী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচার দাবি আজ শুধু সময়ের দাবি।
দেশের মানুষ প্রত্যেকটি ঘুম কোন হত্যার বিচার দাবিতে আজ সোচ্চারিত হয়ে উঠেছে। এর আগে সমাবেশের পূর্বে দুপুর থেকেই চারদিক থেকে মিছিল এসে মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। জনসমাবেশ শান্তিপূর্ণ করতে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ছাত্রশিবিরের কর্মীরা বিশেষ পাহারা বসিয়ে দায়িত্ব পালন করেন।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য দেলোয়ার হোসাইন। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাওলানা মো. বদর উদ্দিন জেলা আমি বাংলাদেশ জামাত ইসলামী ফরিদপুর। সভাপতিত্ব করেন বাংলা উপজেলার সাবেক ভাই সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা আমি মাওলানা সারোয়ার হোসেন।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, মুকসুদপুর উপজেলা জামাত ইসলামের সভাপতি আব্দুর রহমান, হাফেজ মোহাম্মদ নূরুল হুদা, রিপন সিকদার, হাফেজ আব্দুল আউয়াল মাওলানা আবু সাঈদ, মাওলানা আনোয়ার হোসেন সাইদুর রহমান লিটু খন্দকার, মফিজুর রহমান মাসুদ, কামরুল আহসান আনসারি, ডাক্তার এনায়েত হোসেন প্রমুখ।
মন্তব্য