ফরিদপুরের নগরকান্দার রসুলপুরে প্রভাবশালী মহল কর্তৃক ঘরবাড়ি ভেঙ্গে উচ্ছেদ হতে চলা অসহায় বিধবা নারী আসমা বেগমের পাশে দাড়িয়েছে বিএনপি।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে এক আকস্মিক সফরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে রসুলপুরে যান দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
এসময় তিনি বিধবা আসমার জরাজীর্ণ কুটিরে যান এবং তার সার্বিক খোঁজখবর নেন এবং তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তার হাতে নগদ আর্থিক সহায়তার টাকাও তুলে দেন।
রুহুল কবির রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, আসমা বেগমের বাড়িঘর ব্যাপকভাবে ভাংচুর করা হয়েছে। আমরা সরেজমিনে ঘটনাস্থলে এসে তার সত্যতা পেয়েছি।
এ ব্যাপারে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলেছি। আর যদি ওই ব্যক্তির সাথে বিএনপির কোন ঘনিষ্ট সম্পর্ক থাকে তাহলে সে ওই বিধবার বাড়ি সম্পূর্ণভাবে পুনরায় মেরামত করে দেয়া হয় সেজন্যও বিএনপি নেতাদের নির্দেশ দিয়েছি।
জানা গেছে, ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নের ধুতরাহাটি-রসুলপুর বাজার এলাকায় কুমার নদের পাড়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি রয়েছে। সেখানে একখন্ড জমিতে একটি দোচালা ঘর তুলে গত ২৫ বছর যাবত বসবাস করে আসছেন মৃত মফিজ মিয়ার হতদরিদ্র বিধবা স্ত্রী আসমা বেগম (৪৮)। কয়েকদিন আগে বিএনপির নাম ব্যবহার করে স্থানীয় সালাউদ্দিন চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি সেই বিধবার বাড়িঘর ভেঙ্গে সেখান থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা চালান।
আসমা বেগম ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর এই আকস্মিক সফরে হতবিহ্বল হয়ে পড়েন। তিনি তার সামনে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। একপর্যায়ে রুহুল কবির রিজভীর আশ্বাসে তার মনে ভরসা তৈরি হয়। তিনি বলেন, এই একখন্ড জমি ছাড়া আমার আর কোন সম্বল নাই। জবাবে রুহুল কবির রিজভী সারাজীবন তিনিই এই জমিতে থাকতে পারবেন বলে তাকে ভরসা দেন। এতে বিএনপির প্রতি চির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
এর আগে সাংবাদিকদের নিকট তালমা ইউনিয়নের বিলনালিয়া গ্রামের আঃ গফুর মাতুব্বরের ছেলে মো. সালাহউদ্দিন কবির (৩৯) জানান, ওই জমি তিনি স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ডিসিআর গ্রহীতাদের নিকট থেকে কিনে নিয়েছেন।
তবে নগরকান্দা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুম বিল্লাহ জানিয়েছেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড কিংবা সরকারের খাস খতিয়ানভুক্ত জমি বন্দোবস্ত দেয়ার বিধান রয়েছে। তবে এসব জমি ক্রয়বিক্রয় বা হস্তান্তর করা যায়না।
মন্তব্য