অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টায় জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে নিউ ইয়র্কের একটি হোটেলে এই বৈঠক হয়।
সাক্ষাতকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় বাংলাদেশ থেকে পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে নেওয়া, রোহিঙ্গা সংকট, সন্ত্রাস দমন, শ্রম বিষয়ক সংকট ও অর্থনৈতিক সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশের জনগণের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় ড. ইউনূসের দৃঢ় সংকল্প ও নেতৃত্বের জন্য ব্লিঙ্কেন তাকে সাধুবাদ জানান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক্স হ্যান্ডলে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে ড. ইউনূসের সঙ্গে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দীর্ঘদিনের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে সহযোগিতা আরও গভীরতর করার প্রসঙ্গটি আলোচনায় এসেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে ড. ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন।
এর আগে গত ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বিগত সরকারের আমলে সব ধরনের নিপীড়নের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সাহসী ভূমিকার বিষয়টিও উঠে এসেছে। এ সময় ছাত্রদের আত্মত্যাগ নিয়ে মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে জানানো হয়, বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস বিগত সরকারের আমলে সকল ধরনের নিপীড়নের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সাহসী ভূমিকা ও বাংলাদেশ পুনর্গঠনে তাদের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা জো বাইডেনকে জানান। অধ্যাপক ইউনূস জোর দিয়ে বলেন, দেশ পুনর্গঠনে তার সরকারকে অবশ্যই সফল হতে হবে। এ সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন যেকোনো সাহায্যে বাংলাদেশ সরকারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
এ সময় প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, শিক্ষার্থীরা যদি দেশের জন্য এত ত্যাগ স্বীকার করতে পারে, তাহলে আমাদেরও (যুক্তরাষ্ট্র সরকার) উচিত পূর্ণ সহযোগিতা করা।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা জুলাই বিপ্লব চলাকালীন ও এরপরে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আঁকা দেয়ালচিত্রের ছবি-সংবলিত ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ শীর্ষক আর্টবুক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে উপহার দেন।
মন্তব্য