জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ নির্বাচনি ইশতেহারে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে। স্মার্ট বাংলাদেশ ‘উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে কর্মসংস্থান’ স্লোগানে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ।
বুধবার রাজধানীর হোটেল সোনরগাঁওয়ে নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ছে, তাই দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণ করা হবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটি নির্বাচনি ইশতেহারে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ করা এবং পদায়ন ও পদোন্নতিতে মেধা, সততা, যোগ্যতা, কর্মনিষ্ঠা, দক্ষতা, ন্যায়পরায়ণতা, শৃঙ্খলাবোধ প্রভৃতি বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। বৈশ্বিক সংকটের সঙ্গে বৃদ্ধি পাওয়া জীবনযাত্রার মান সমন্বয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। গৃহঋণ বাবদ সরল সুদে ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া আওয়ামী লীগের ইশতেহারে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও অবাধ তথ্যপ্রবাহ কথা তুলে ধরে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকার অবাধ তথ্যপ্রবাহ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতে আমরাই প্রথম বেসরকারি খাতে টেলিভিশন ও রেডিও উন্মুক্ত করি। ১৯৯৬ ও বিগত ১৫ বছরে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে। দেশে পত্রিকার সংখ্যা ৩ হাজার ২৪১টি। ৩৩টি বেসরকারি টিভি চ্যানেল, ২৩টি এফএম বেতার এবং ১৮টি কমিউনিটি বেতার কেন্দ্র বর্তমানে সম্প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সাংবাদিকরা যাতে নির্যাতন, ভয়ভীতি-হুমকি, মিথ্যা মামলার সম্মুখীন না হন তার ব্যবস্থা করা হবে। ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩’ অনুযায়ী ব্যক্তির গোপনীয়তা ও তথ্য সংরক্ষণ করা হবে এবং অপব্যবহার রোধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত থাকবে। সাংবাদিকদের জন্য দশম ওয়েজবোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া চলমান। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের আওতায় সাংবাদিকদের আর্থিক ও চিকিৎসা সহায়তাকে আরও সম্প্রসারণ করা হবে।
জনবান্ধব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গড়ে তোলা: আওয়ামী লীগ সরকার সবসময়ই তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর, উন্নত, মানবিক ও জনবান্ধব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গঠনের লক্ষ্যে কাজ করেছে। ফলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্ষমতা বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে স্মার্ট ও আধুনিক হিসেবে গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি: আওয়ামী লীগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে সমাজ থেকে দুর্নীতির মূলোৎপাটন করতে কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুর্নীতিবিরোধী মনোভাব গড়ে তোলার জন্য পাঠ্যক্রমে দুর্নীতির কুফল ও দুর্নীতি রোধে করা হবে।
মন্তব্য