ভাঙ্গায় রান্না ঘরের আগুন নিয়ে খেলার সময় দগ্ধ ২ শিশুর মৃত্যু

  • নিজস্ব প্রতিবেদক : 
  • সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪ ০২:১১:০০
  • কপি লিঙ্ক

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় রান্না ঘরে আগুন নিয়ে খেলতে গিয়ে দগ্ধ দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার রাত ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। 

মৃত শিশুরা হলো ওই গ্রামের ছিদ্দিক মুন্সীর ছেলে ইসমাইল মুন্সি (৪) ও আসাদ মুন্সীর ছেলে ইয়াসিন মুন্সি (৩)। অগ্নিকাণ্ডে দুই শিশুর শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে গেলে আহত অবস্থায় তাদের ভাঙ্গা উপজেলা হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। রোববার সকালে শিশু দুটি অগ্নিদগ্ধ হয়।

অগ্নিদগ্ধ শিশুদের চাচা উজ্জ্বল হোসেন জানান, ইয়াসিন ও ইসমাইল সকালে রান্না ঘরে খেলতে যায়। বাড়িতে এসময় কোন অভিভাবক না থাকায় খেলার ছলে তারা কিছু পাটের খড়ি রান্নার চুলার মধ্যে দিয়ে দেয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন পাটখড়ির বেড়ায় লেগে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে।

তখন দুই শিশু ভয় পেয়ে রান্নাঘরের পাশে গোসলখানায় আশ্রয় নেয়। রান্না ঘর পুড়ে যাওয়ার পর গোসলখানায় আগুন ধরে যায়। একপর্যায়ে আগুনের লেলিহান শিখা রান্না ঘর ও গোসলখানাসহ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের ধোঁয়া চারদিকে ছড়িয়ে পড়তে গ্রামবাসী আগুন নিভাতে চেষ্টা করলেও কেউ জানতো না শিশু দুটি বাথরুমে আটকা পড়েছে।

আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর শিশু দুটির আর্তচিৎকার শুনতে পায়। পরে সেখান থেকে দগ্ধ দুই শিশুকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। অবশেষে  তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে শিশু দুটির মৃত্যু হয়।

স্থানীয় দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মো. ইদ্রিস আলী জানান, অগ্নিদগ্ধ শিশু দুটিকে উদ্ধার করে প্রথম ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ঢাকার বার্ন ইউনিটে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যায়।

ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মৌলি চৌধুরী জানান, অগ্নিদগ্ধ ইয়াসিনের ৬৮ ভাগ এবং ইসমাইলের ৯০ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এদিক আগুনে দগ্ধ হয়ে দুটি অবুঝ শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যুর  ঘটনায় গোটা এলাকায় একটি শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এর আগে ঢাকা থেকে লাশ আনার পর ইসমাইল মুন্সীকে রাতেই দাফন করা হয়েছে ।  ইয়াসিনের লাশ ঢাকা থেকে বাড়িতে নিয়ে আসা হচ্ছে। এ ঘটনায় শোকে স্তব্ধ পুরো এলাকা।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

মন্তব্য