ফরিদপুরে পূজার মণ্ডপ থেকে ফিরে দুই তরুণী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁদের হাসপাতাল নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন একজন ও অপরজনকে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মৃত্যু হয়। নিহত এক তরুণীর খালা জানিয়েছেন, দুজনেই বাইরে মদ পান করেছিল। বাড়ি ফিরে বমি করতে থাকলে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।
গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। আজ শনিবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান।
মৃতরা হলেন-সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ও মাগুরার শালিকা উপজেলার দিবালা গ্রামের সাধন বিশ্বাসের মেয়ে পূজা বিশ্বাস (২০) এবং একই কলেজের ডিগ্রি পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার আমগ্রামের রতন কুমার সাহার মেয়ে রত্না সাহা (২২)।
নিহতরা জেলা শহরের আলীপুরের কানাই মাতুব্বরের মোড় এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। তাঁরা সম্পর্কে বান্ধবী। দুজনই একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পার্টটাইম চাকরি করতেন। একই বাসায় থাকতেন নিহত পূজা বিশ্বাসের মাসি (খালা) বিথি বিশ্বাস। তিনি একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চাকরি করেন।
বিথী বিশ্বাস বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যায় আমি ডিউটিতে থাকাকালীন পূজা ফোন দিয়ে বলে পূজায় ঘুরতে বের হবে। তাঁর সঙ্গে রত্না সাহাও যায়। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে দুজনে বাসায় ফিরে। রাত ১টার দিকে রত্না সাহা এবং পূজা বিশ্বাস অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং বমি করতে থাকে। তখন জানায়, ওরা অ্যালকোহল খেয়েছে। পরে তাঁদের ফরিদপুর সদরের জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে চিকিৎসা দেওয়ার একপর্যায়ে অবস্থার অবনতি হলে রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, নিহতদের মধ্যে রত্না সাহাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয় এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শনিবার সকাল ৮টার দিকে পূজা সাহা মারা যান।
কোতোয়ালি থানার ওসি মো. আসাদউজ্জামান চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে বলেন, ‘অতিরিক্ত অ্যালকোহল পানে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। লাশ দুটি সুরতহাল রিপোর্ট করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তে রিপোর্ট পাওয়ার পরে মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে এবং তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মন্তব্য