২০২৭ নারী ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেল লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। আয়োজক হওয়ার প্রতিযোগিতায় যৌথভাবে বিড করা বেলজিয়াম-নেদারল্যান্ডস-জার্মানিকে হারিয়েছে তারা। ফিফা কংগ্রেসে ভোটাভুটি শেষে আসন্ন দশম নারী বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে চূড়ান্ত করা হয় ব্রাজিলের নাম।
আজ শুক্রবার (১৭ মে) ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২৭ বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে ব্রাজিলের নাম ঘোষণা করে।
ফলে প্রথম দক্ষিণ আমেরিকান দেশ হিসেবে তিন বছর পর বিশ্বকাপ আয়োজন করবে পেলে-নেইমারের দেশ।
এর আগে, ২০২৭ নারী ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজকের দৌড় থেকে সরে দাঁড়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো। এরপর লড়াইটা হয়ে পড়ে দ্বিপাক্ষিক।
ব্রাজিলে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে উচ্ছ্বাসিত ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘সর্বকালের সেরা নারী বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে এটি। ’
শুক্রবার ব্যাংককে ফিফা কংগ্রেসে ভোটাভুটিতে ১১৯টি ভোট পায় ব্রাজিল। অন্যদিকে, যৌথভাবে আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া বেলজিয়াম-নেদারল্যান্ডস-জার্মানির ভাগে পড়ে ৭৮টি ভোট। অবশ্য চূড়ান্ত ভোটাভুটির আগে ব্রাজিলের দিকেই পাল্লা ভারী ছিল। ফিফা টেকনিক্যাল কমিটির মূল্যায়নে লাতিন দেশটি আয়োজক হওয়ার দৌড়ে কিছুটা এগিয়ে ছিল।
এর নেপথ্য কারণ, টুর্নামেন্ট সফলভাবে আয়োজনের সম্ভাব্যতা, বাণিজ্যিক বিষয়াদি, অংশগ্রহণকারী দলগুলোর সুযোগসুবিধা ও আবাসনের মতো বিষয়। এ ছাড়া ২০১৪ পুরুষ বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য ১০টি স্টেডিয়াম নির্মাণ করায় বাড়তি সুবিধা পেয়েছে ব্রাজিল।
ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের সভাপতি এদনাল্ডো রদ্রিগেস এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, আমরা জানতাম, দক্ষিণ আমেরিকার নারী ও ফুটবলের বিজয় আমরা উদযাপন করতে পারব। দম্ভ করে বলছি না, নিশ্চিত থাকতে পারে, নারীদের জন্য সবচেয়ে সেরা বিশ্বকাপ আমরা উপহার দেব।
উল্লেখ্য, ১৯৯১ সাল থেকে আয়োজন হয়ে আসছে ফিফা নারী বিশ্বকাপ। সর্বশেষ গত বছর অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে হয়েছিল নারী বিশ্বকাপ। যেই আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় স্পেন। এছাড়া সর্বোচ্চ চারবার বিশ্বকাপ জিতেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে লাতিন কোনো দেশ এখনো পর্যন্ত একবারও শিরোপার স্বাদ পায়নি। এবার বড় সুযোগ তাদের সামনে।
মন্তব্য