প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সবসময় মানুষের পাশে রয়েছে। আজকে বাংলাদেশের যত অর্জন, সেগুলো আওয়ামী লীগের দ্বারাই। কিন্তু বারবার এই আওয়ামী লীগের ওপর আঘাত এসেছে। আওয়ামী লীগই গণমানুষের সংগঠন। আওয়ামী লীগ জনগণের অধিকার আদায়ের সংগঠন।
রোববার (২৩ জুন) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বারবার আঘাত করেও আওয়ামী লীগকে শেষ করে দেওয়া যায়নি। ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠেছে। কারণ আওয়ামী লীগের শক্তি দেশের সাধারণ জনগণ। তৃণমূলের কর্মীরা, সৈনিকরা। তারা কখনও মাথানত করে না। বিভিন্ন সময় নেতারা অনেকে ভুল করেছেন। আওয়ামী লীগ ছেড়ে চলে গেছেন। যেসব নেতা ভুল করেছেন, তারা বোঝেননি। চলে যাওয়ায় হারিয়ে গেছেন। হ্যাঁ, অনেকে ফিরে এসেছেন, আমরা গ্রহণ করেছি। আবার অনেকে এখনও সরকার পতনের আন্দোলন করেন।
তিনি বলেন, বাঙালির প্রতিটি অর্জনে আওয়ামী লীগ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। দলটি প্রতিষ্ঠা লাভ করেছেই তো বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। যা আমরা প্রমাণ করেছি।
তিনি আরও বলেন, মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার, ২১ ফেব্রুয়ারিকে শহীদ দিবস ঘোষণা, মাতৃভাষা সংরক্ষণে প্রকল্প গ্রহণ, ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি আদায় আওয়ামী লীগই এনে দিয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রতিটি পদক্ষেপের ফলে আজ বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ’৭৫ পর বার বার ক্ষমতা বদল হয়েছে। কিন্তু ক্ষমতা বদল হয়েছে হয় অস্ত্রের মাধ্যমে এবং ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ছিল না, মানুষের মৌলিক অধিকার ছিল না। মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তনই তারা করতে পারিনি।
তিনি বলেন, মুজিব আদর্শের সৈনিকরা কখনও পরাভব মানে না। সংগঠন মজবুত থাকলে কেউ আওয়ামী লীগকে দমাতে পারবে না।
মন্তব্য