ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ছিনতাইকৃত একটি মাছ ভর্তি পিকআপভ্যানসহ পিক আপের ভ্যানের চালক ও মালিক সহ তিন জনকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করেছে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানা পুলিশ।
বুধবার রাতে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানা পুলিশের একটি বিশেষ দল অভিযান চালিয়ে শরীয়তপুরের জাজিরা থানার পদ্মাসেতু টোলপ্লাজা সংলগ্ন এলাকা থেকে পিকআপ ভ্যানটি পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। এর আগে ছিনতাইকারী দল পিকআপের চালক ও ২ মালিককে হাত পা বাঁধা অবস্থায় মুকসুদপুরের আকিজ পাটমেইল সামনে ফেলে রেখে চলে যায়। এ ঘটনায় মুকসুদপুর থানায় পিকআপের ভ্যানের মালিক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে।
ভুক্তভোগী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে পিক-আপের ভ্যান চালক মিলন শেখ পিরোজপুর নাজিরপুরের মিজানুর রহমানের মালিকানাধীন কোলবালিশ দুটি পিক- আপ ( ঢাকা মেট্রো-৬১-৩০৬১) যোগে মাছ ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম, মাসুম বিল্লাহ পলাশ এবং আশিকুল ইসলামকে নিয়ে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া থেকে ভাঙ্গা মৎস্য আড়তে মাছ নিয়ে আসছিল। এ সময় রাজৈর সড়ক হতে মহাসড়কে উঠার সময় ১০/১২ জন সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্র মাছ বহনকারী পিক-আপটিকে অন্য একটি পিকআপ নিয়ে ধাওয়া করে। পরে পিকআপের গতিরোধ করে অস্ত্রের মুখে তাদের সবাইকে জিম্মি করে হাত- পা বেঁধে ফেলে অন্য গাড়িতে তুলে নিয়ে মাছের গাড়িটি তাদের নিয়ন্ত্রণে নেয়। চক্রটি অপহৃতদের মুকসুদপুরের পাটকলের সামনে হাত পা বাধা অবস্থায় ফেলে রেখে তাদের নিকট থেকে নগদ টাকা,দামী মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মুকসুদপুর থানায় মামলা দায়ের করার পর ভাঙ্গা হাইওয়ে থানা পুলিশকে অবহিত করলে পিকআপটিকে উদ্ধার করে।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার এস,আই আবদুল্লাহেল বাকী আজকের দর্পণকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানা পুলিশের একটি দল বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালিয়ে ছিনতাই করা পিকআপটি পদ্মা সেতু সংলগ্ন থেকে উদ্ধার করে এবং পরে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানায় নিয়ে আসে। পিক-আপের মালিক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে মুকসুদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনায় জড়িতদের অচিরেই গলগ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য