সদরপুরের আকোটেরচর বাজারে খালে 

বাঁশের সাকো নির্মাণে ইউপি চেয়ারম্যানের গাফিলতি, চরম দুর্ভোগে জনসাধারণ  

  • চরভদ্রাসন (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
  • বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০২:০৯:০০
  • কপি লিঙ্ক

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার আকোটেরেরচর বাজারস্থ গুচ্ছগ্রামের সহস্রাধিক বাসিন্দার বর্ষা মৌসুমের একমাত্র যাতায়াত মাধ্যম বাঁশের সাঁকোটি দীর্ঘদিন ধরে অকেজো পড়ে ছিল। 

সম্প্রতি ইউপি চেয়ারম্যান আসলাম বেপারীর স্বেচ্ছাচারিতায় সাঁকোটি সংস্কারের পরিবর্তে খুলে বাঁশ গুলো নিয়ে যাওয়ায় জনসাধারণ এর  দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করছে। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, আকোটেরচর বাজারস্থ গুচ্ছ গ্রামবাসীর একমাত্র যাতায়াত এর  অবলম্বন বাশের সাঁকোটি দীর্ঘ তিন চার মাস ধরে বিকল হয়ে পড়ে ছিল। যা কিছু দিন আগে মেরামতের পরিবর্তে খুলে নিয়ে যায় আইয়ুব খান নামের চেয়ারম্যান এর কর্মী। গুচ্ছগ্রামবাসীর পক্ষে মৃত: সেক চান্দার ছেলে তাঁরা মিয়া বাঁসের সাঁকোটি মেরামতের জন্য সদরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট দাবি তুলেন।

সেই দাবির পরিপেক্ষিতে তৎকালীণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুরাদ আলী আকোটেরচর ইউপি চেয়ারম্যান আসলাম বেপারীকে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নির্দেশ অমান্য করে দীর্ঘদিন ধরে ইউপি চেয়ারম্যান আসলাম বেপারীর আশীর্বাদ পুষ্ট আকোটেরের চর নিবাসি  মৃত্যু ফুলখার ছেলে আইয়ুব  খান সাঁকো নির্মাণে গুড়িমসি করে। 

এ  ব্যাপারে গুচ্ছ গ্রামবাসীরপক্ষে মৃত: সেখ খোওয়াজের ছেলে সেক ইউনুস, সেক আব্দুর রহমানের ছেলে ইসমাইল, মৃত কালো মোল্লার ছেলে কুদ্দুস মোল্লা বলেন, আমরা বাঁশের সাঁকোটি জন্য আমরা প্রতিকূল পরিবেশে যাতায়াত করে যাচ্ছি, রাস্তাঘাটের জন্য বরাদ্দ থাকলেও আমদের যাতায়াতের জন্য বাঁশের সাঁকোটি মেরামতের জন্য বারবার প্রশাসন এর কর্তা ব্যাক্তিদের নিকট ধরণা দিয়েও কাজ হচ্ছে না।

দীর্ঘদিন ধরে ইউপি চেয়ারম্যান আসলাম বেপারীর আশীর্বাদ পুষ্ট মৃত্যু ফুলখার ছেলে আইয়ুব আলী সাঁকোটি নির্মাণে গড়িমসি করছে। পূর্বের অকেজো বাঁশের সাঁকোটি পুনঃনির্মাণ না করে সেটি খুলে নিয়ে যায়।

একই প্রশ্নের জবাবে ইউপি চেয়ারম্যান আসলাম বেপারী ও কোন  সঠিক উত্তর দিতে পারেননি। তিনি দ্রুত সময়ের মধ্য বাঁশের সাঁকোটি  নির্মাণের উদ্যোগ নেবেন বলে জানান। তিনি আরও জানান, পূর্বের কিছু বাঁশছিল এটা নিয়ে ভুল বোঝা বুঝি হয়েছিল, যার ফলে দীর্ঘ সময় লেগেছে, চেয়ারম্যান নিজে উপস্থিত থেকে এখন দ্রুত সময়ে  সাঁকোটি পুন:নির্মান  করবেন বলে আশ্বাস দেন।

সদরপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার আল মামুনের সাথে ফোনে কথা হলে তিনি বলেন আকোটেরচর বাজারে খালে বাঁশের সাকো নিয়ে একটা ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে,তবে আমি আকোটের চর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কে নির্দেশ দিয়েছি বাঁশের সাকোটি দূরত্ব করে দেয়ার জন্য।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

মন্তব্য