দিনাজপুরে আজ সোমবার ভোর ৫টা থেকে সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত কিছুকটা ঘন কুয়াশার দেখা মিলেছে। এ সময় জেলার সড়ক ও মহাসড়কে দূরপাল্লার যানবাহনসহ সব ধরনের যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলেছে।
ভোরে ধোঁয়া ধোঁয়া কুয়াশার সিগ্ধতার মাখামাখিতে দিনাজপুরে এখন এক অন্য রকম প্রাকৃতিক পরিবেশ বিরাজ করছে। কুয়াশা মাখা মনোরম পরিবেশ উপভোগ করে উচ্ছ্বসিত হয়েছেন ভোরে ফজরের নামাজের মুসুল্লি, হাঁটতে বের হওয়া মানুষ ও কাজে বের হওয়া শ্রমিকরা।
এ সময়ে কুয়াশার কারণে এবার শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। সদর উপজেলার চুনিয়াপাড়া গ্রামের নাজমুল ইসলাম বলেন, আশ্বিন মাসের শেষের দিকে এমন ঘন কুয়াশা গত কয়েক বছর দেখেনি দিনাজপুর বাসী। হাঁটতে খুব ভাল লাগছে, আজকের দিনে কুয়াশা স্মরণ করিয়ে দেয় যে শীত আসছে।
সদর উপজেলার খোদমাধবপুর মিস্ত্রিপাড়া জামে মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসুল্লি সবুজ বলেন, আশ্বিন মাসেই কুশায়া পড়ে গেছে, শীতের প্রভাব হয়তো আসছে।
কয়েকদিন আগে বৃষ্টি, তার পরেই গরম ও কুয়াশা। এ সব মিলিয়েই আমাদের এই বাংলাদেশর ছয় ঋতুর কিছুটা পরিবের্তন ঘটছে। সব যেন একটু আগে পিছে হচ্ছে।
সদর উপজেলার খোদমাধপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম বলেন, এবার আশ্বিন মাসের শেষের দিকে কুশায়া পড়তে শুরু করেছে।
আজকে যে কুয়াশা পড়েছে তা কল্পনাই করা যায় না।
ইজিবাইক চালক বাবু বলেন, কুয়াশা মানেই শীত আসার নমুনা। আমাদের কাছে আজকের কুয়াশা ভালই লাগছে। এ মৌসুমে আজ প্রথম মোটামুটি কুয়াশা দেখলাম।
ভোর বেলা হাটতে বের হওয়া প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, সেপ্টেম্বর মাস প্রাকৃতিক নিয়মেই কুয়াশা পড়ার কথা।
তবে আস্তে আস্তে পড়ার কথা থাকলেও আজকে একটু কুয়াশা যেন বেশিই পড়েছে।
সদর উপজেলার বালু পাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আশ্বিন মাসের ২৫ তারিখ। শীত অনুভূত না হলেও কুয়াশা পড়েছে। ঋতু পরিবর্তনের একটা পূর্বাভাষ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
বিরল উপজেলা রবিপুর গ্রামের মতিউর রহমান বলেন, দিনে রাতে গরম হলেও ভোরে কুয়াশায় কিছুটা শীতের আমেজ পাওয়া যাচ্ছে। শীত আসছে এটা বোঝা যাচ্ছে।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টির পর আজ সোমাবার ভোরে কিছুটা কুয়াশা পড়েছিল। এসময় এমন কুয়াশা স্বাভাবিক বিষয়। তবে দিনাজপুরে তাপমাত্রা ২৪/২৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠা নামা করছে।
মন্তব্য