অনাথ-অসহায় পরিচয় দিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল বাড়িতে। এরপর এর ‘প্রতিদান’ হিসেবে গৃহকর্তার একবছর বয়সী শিশুসন্তানকে অপহরণ করে নিয়ে বিক্রি করে দেয় অন্যত্র। অপহরণ হওয়া সেই শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে এক নারীকে। তবে এখনো পলাতক রয়েছে অপহরণকারী জাফর মিয়া (২৪) নামের ওই যুবক।
মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মো. সেলিম।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রায় তিন সপ্তাহ আগে জাফর মিয়া নামের এক যুবক নিজেকে অনাথ পরিচয় দিয়ে আশ্রয় চান সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার রুস্তুমপুর ইউনিয়নের উপরগ্রামের মো. ফয়জুদ্দিনের কাছে। জাফরের কথাবার্তায় মন গলে ফয়জুদ্দিনের। আশ্রয় দেন নিজ বাড়িতে। আশ্রয় নেওয়ার সময় জাফর জানায় তার বাড়ি মৌলভীবাজারে। গত ২৭ মে ফয়জুদ্দিনের ১৪ মাস বয়সী ছেলে সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যায় জাফর। পরে ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে সে শিশুটিকে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার সর্দারপুর গ্রামের মমতা বেগম (৪৫) নামের এক নারীর কাছে বিক্রি করে দেয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মো. সেলিম জানান, শিশু নিখোঁজের ঘটনায় তার বাবা মো. ফয়জুদ্দিন গোয়াইনঘাট থানায় একটি জিডি করেন। এরপর গত সোমবার রাতে শিশুটিকে উদ্ধার ও মমতা বেগমকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, শিশু অপহরণের সময় ফয়জুদ্দিনের মোবাইল ফোনও চুরি করে নিয়ে যায় জাফর। ওই ফোন দিয়ে সে মমতার সাথে কয়েকবার যোগাযোগ করে। এই সূত্র ধরেই মমতা বেগমকে আটক ও শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে শেখ মো. সেলিম মিয়া আরও জানান, মমতা বেগম ও জাফর পূর্বপরিচিত। মমতা বেগমের তিন মেয়ে। পরিচয়ের সূত্র ধরে মমতা জাফরকে বলেছিলেন, একটি ছেলে সন্তান এনে দিতে পারলে তাকে ১৫ হাজার টাকা দেবেন। টাকার জন্যই জাফর শিশুটিকে অপহরণ করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সেলিম জানান, অপহরণকারী জাফর মিয়াকে গ্রেফতারে পুলিশ তৎপরতা চালাচ্ছে।
মন্তব্য