আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে ৩৮ লাখ টাকা লুট, ৭ ডাকাত গ্রেপ্তার 

  • ‌মো. শা‌হিনুল ইসলাম, সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ): 
  • রবিবার, ১২ মার্চ ২০২৩ ১১:০৩:০০
  • কপি লিঙ্ক

নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয় দিয়ে ৩৮ লাখ টাকা ডাকাতির ঘটনায় ৭ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই। আজ রোববার (১২ মার্চ) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে গণমাধ্যম কর্মীদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। 

দীর্ঘদিন অভিযান পরিচালনা করে এ ঘটনায় জড়িত তিন আসামিকে প্রথমে গত ২১ ফেব্রুয়ারি সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকা থেকে, দুই আসামিকে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মনবাড়ীয়ার নাসিরনগর এলাকা থেকে এবং অপর দুই আসামিকে গত ৭ মার্চ চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তারকৃতদের নিকট থেকে দুটি নকল জ্যাকেট ও একটি খেলনা পিস্তল জব্দ করে তাঁরা।  

গ্রেপ্তাররা হলেন, সাইফুল ইসলাম স্বপন (৪৯), নূর ইসলাম (৩৬), মো. রাসেল (৩৫), মো. রতন (৩৬), মো. বাবুল হোসেন (৪৩), শাহরিয়ার মোফাজ্জল (৩১) এবং মো.সালাউদ্দীন (২৭)।  

সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই জানায়, গত ২০ ফেব্রুয়ারি বিকালে পরিতোষ চন্দ্র ধর (৫০) চট্টগ্রামের লাঙ্গলমোড়া এলাকা থেকে তার ব্যবসার ৬০ ভরি স্বর্ণ ঢাকার তাঁতি বাজারে ৩৮ লাখ টাকা বিক্রি করে টাকাসহ চট্টগ্রামে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের কাঁচপুর ব্রীজের পশ্চিমপাড়ে পৌঁছামাত্র এক ডাকাতদল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে তার কাছে থাকা ৩৮ লাখ টাকা নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ২৩ ফেব্রুয়ারি তিনি নিজেই বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। 

জবানবন্দিতে আসামিরা জানায়, বাদী ঢাকার স্বর্ণপট্টি হতে বের হবার সময় আসামি সালাউদ্দীন তাকে ওইখান থেকেই অনুসরণ করতে থাকে। বাদী সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে চট্টগ্রামগামী খাদিজা পরিবহনে উঠলে আসামি সালাউদ্দীন কৌশলে ঐ একই বাসে উঠে যায়। তারপর সালাউদ্দীন অপর সহযোগী শাহারিয়ার মোফাজ্জলকে ফোনে বিষয়টি জানালে মোফাজ্জল, মো. রতন (৩৬), মো. বাবুল হোসেন (৪৩), সাইফুল ইসলাম স্বপন, নূর ইসলাম কাঁচপুর ব্রীজের পশ্চিমপাশে অবস্থান নেয়। 

বাদীকে বহনকারী গাড়িটি কাঁচপুর ব্রীজের পশ্চিমপাড়ে পৌঁছামাত্রই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে গাড়ি থামিয়ে আসামি অবৈধ টাকা আছে বলে বাদীকে জোরপূর্বক গাড়ি থেকে নামিয়ে ফেলে। তারপর জোরপূর্বক বাদীর টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে তারা পালিয়ে যায়।  

আসামি সাইফুল ইসলাম স্বপন, নূর ইসলাম, রাসেল গত ২২ ফেব্রুয়ারি এবং মো. রতন, মো. বাবুল হোসেন গত ২ মার্চ ডাকাতির ঘটনার নিজেদের সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।  

এ মামলার পরবর্তী তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পিবিআই।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

মন্তব্য