যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য প্রবেশের ওপর ১০ শতাংশ ভিত্তি ধরে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশ্বজুড়ে আরোপ করা শুল্ক শনিবার (৫ এপ্রিল) থেকে কার্যকর হয়েছে। ফলে দেশটির আমদানি করা সব পণ্যের ওপর বাড়তি অর্থ আদায় শুরু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
ট্রাম্পের নতুন শুল্ক ঘোষণায় বিশ্বজুড়ে পুঁজিবাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। এছাড়া বিক্ষোভ দেখিয়েছেন হাজার হাজার মার্কিনী। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও বিক্ষোভ হয়েছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। শনিবার জার্মানির বার্লিন ও ফ্রাঙ্কফুর্ট, ফ্রান্সের প্যারিস এবং যুক্তরাজ্যের লন্ডনে একত্র হন বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভকারীদের একজন হান্না বলেন, এই বিক্ষোভের মাধ্যমে হয়তো খুব দ্রুত নীতি পরিবর্তন হবে না, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। কারণ এটা প্রমাণ করা যে অনেক আমেরিকান ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে।"
শিকাগোতে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী শহরের কেন্দ্রস্থল এলাকায় সমাবেশ করেছে। বিক্ষোভের স্থান থেকে আল জাজিরার জন হেন্ড্রেন বলেছিলেন যে, এখানে অনেক মানুষ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। এই বিক্ষোভকারীরা তাদের চাকরি নিয়ে উদ্বিগ্ন ... এই লোকেরা বেশিরভাগই আমেরিকার নাগরিক, তারা ট্রাম্প প্রশাসন এবং ইলন মাস্কের কাছে তাদের বার্তা 'হ্যান্ডস অফ' পৌঁছে দিতে জড়ো হয়েছেন।
মানবাধিকার প্রচারণার সভাপতি কেলি রবিনসন ওয়াশিংটনের এক সমাবেশে বক্তব্যে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতি সরকারের আচরণের সমালোচনা করেছেন তিনি বলেছেন, আমরা যেসব আক্রমণ দেখছি, সেগুলো কেবল রাজনৈতিক নয়। সেগুলো ব্যক্তিগত। অভিবাসন, স্বাস্থ্যসেবা এবং শ্রমিকদের অধিকারের বিষয়ে পদক্ষেপের দাবিতে আটলান্টা, বোস্টন, মিয়ামি এবং শার্লটে একই ধরনের বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে ‘অনমনীয়’ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি পুঁজিবাজারের ওই অস্থিরতাকে ‘অর্থনৈতিক বিপ্লব’ বলে আখ্যায়িত করে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এতে জিতবে (অস্থিরতা কাটিয়ে উঠবে)।’ ট্রাম্প তার মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া একটি পোস্টে দেশবাসীর উদ্দেশে লেখেন, ‘অনমনীয় হোন, এটি সহজ হবে না, কিন্তু শেষমেশ যে ফলাফল আসবে, তা হবে ঐতিহাসিক।’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় পড়া দেশগুলোর অন্যতম যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের নেতারা বলেছেন, ট্রাম্পের ঘোষণার পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে কোনো কিছুই তারা বিবেচনার বাইরে রাখছেন না। আর ওই ঘোষণায় বিশেষভাবে ধাক্কা খাওয়া চীন এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে উচ্চ হারে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে।
মন্তব্য