ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার চরহরিরামপুর ইউনিয়নের আরজখার ডাঙ্গী গ্রামে পদ্মা পারের বাঁধ প্রকল্প ঘেষে বেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে ব্যাবসা করার দায়ে সোমবার দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছেন পুলিশ।
তারা হলেন- বেকু মেশিন মালিক মো. নজরুল ইসলাম (৩৫) ও বেকু ড্রাইভার আসিব (২২)। একই সাথে পদ্মা পারে ব্যাবহৃত বেকু মেশিনটি জব্দ করেছেন পুলিশ এবং গ্রেপ্তারকৃতদের ফরিদপুর কোর্টে চালান করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে চরভদ্রাসন থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার বাকি দুই আসামি পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।
ঘটনার পর সোমবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ফয়সল বিন করিম, থানা অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আবদুল ওহাব ও ফরিদপুর পাউবো’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এস.ও) আলমগীর কবির পদ্মা পারের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ মামলার তদন্ত অফিসার চরভদ্রাসন থানার এসআই শাহিন মিয়া জানান, “এলাকার কিছু দুর্বৃত্ত মাটি ব্যাবসায়ী ওই বাঁধ প্রকল্প ঘেষে বেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে পাচার করছিল। এতে উপজেলা পদ্মা রক্ষা বাঁধ প্রকল্পটি হুমকীতে ছিল। তাই পুলিশ পদ্মা পারে আকস্মিক অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছেন এবং মামলার বাকী আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য জোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে”।
স্থানীয়রা জানায়, পদ্মা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য কয়েক বছর আগে শত শত কোটি টাকা ব্যায়ে পদ্মার তীর সংরক্ষন বাঁধ নির্মান করেছেন সরকার। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বাঁধ প্রকল্পের পাশের প্রভাবশালী বসতি মো. মুন্নাফ ফকির (৫০) এর নেতৃত্বে বাঁধ ঘেষে বেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে ট্রাকে ট্রাকে পাচার করা হচ্ছিল। ওই দুর্বৃত্ত মাটি ব্যাবসায়ী বাঁধ এলাকা ঘেষে প্রায় সাত শতাংশ জমির কয়েক ফিট গভীর খনন করে মাটি বিক্রি করেছে। এতে পদ্মা রক্ষা বাঁধটি আসন্ন বর্ষা মৌসুমে চরম হুমকীর মুখে পড়বে বিধায় বিষয়টি প্রশাসনকে অবগত করান এলাকাবাসী। এ খবর পেয়ে চরভদ্রাসন থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আবদুল ওহাবের নেতৃত্বে পদ্মা পারে অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেন পুলিশ।
মন্তব্য