পিরোজপুরের নাজিরপুরে হাত-মুখ বাঁধা আবস্থায় কোমেলা বেগম (৫০) নামের এক গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের বৈবুনিয়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের ভাই জাহিদুল শেখ জানান, আজ শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে খবর পেয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। নিহত ওই গৃহবধু উপজেলার শাঁখারীকাঠী ইউনিয়নের মৃত ছলেমান শেখের মেয়ে।
তার স্বামী সৌদি আরব প্রবাসী ওমর ফারুকের বাড়ি কুমিল্লায়। তিনি ওই এলাকায় জমি কিনে সেখানে বাড়ি করে একা থাকতেন। তাকে হত্যার পর ঘাতকরা তার মুঠোফোনসহ গলায় ও কানে থাকা স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে। এর আগে তার দুটি বিয়ে হয়েছিল।
স্থায়ীয় প্রতিবেশী মুন্নি বেগম জানান, ওই নারীর সাথে আমার পারিবারিক একটি সম্পর্ক রয়েছে। সেই সূত্র ধরে আজ শুক্রবার সকালে আমাদের বাড়িতে তৈরি করা ভালো খাবার খেতে আমার মেয়ে নাঈমা (৮) ও ছেলে শাদিদ (৩)-কে তাকে ডাকতে পাঠাই। তারা ঘরে গিয়ে তাকে মৃত অবস্থায় দেখে আমাকে ডাক দেয়। আমি পার্শ্ববর্তী হাসিনা বেগমকে নিয়ে ওই ঘরে গিয়ে তাকে হাত-মুখ ও চোখ বাঁধা অবস্থায় খাটের ওপর মৃত অবস্থায় দেখি।
নাজিরপুর থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবির জানান, ওই গৃহবধূর মরদেহ তার নিজ বসতঘর থেকে হাত-মুখ ও চোখ বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে গত দুই-তিন দিন আগে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
মন্তব্য