নবাবগঞ্জে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করেবিজয়ী ইউপি সদস্যের ভাতিজাকে হত্যার অভিযোগ

  • অমর চাঁদ গুপ্ত অপু, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
  • বৃহস্পতিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২১ ০২:২৯:০০
  • কপি লিঙ্ক
নির্বাচনে হেরে বিজয়ী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যের ভাতিজা আলী হোসেন সৌরভকে (২২) ঘাড় মটকানোসহ পায়ের রগ কেটে হত্যার অভিযোগে পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থী হেলাল উদ্দিনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে, গতকাল বুধবার দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার জয়পুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং চামুন্ডা ওয়ার্ডে। সকালে ওই গ্রামের নলশিষা নদীর পাড় থেকে দুই পায়ের রগ কাটা ও ঘাড় মটকানো অবস্থায় আলী হোসেন সৌরভের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত আলী হোসেন সৌরভ ওই গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে এবং নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য সানোয়ার হোসেনের ভাতিজা। সৌরভ পেশায় একজন ব্যবসায়ী। আটক ইউপি সদস্য প্রার্থী হেলাল উদ্দিন একই গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে। সৌরভের বাবা আনোয়ার হোসেন বলেন, গত মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে পাওয়া যাচ্ছিল না সৌরভকে। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও তাকে পাওয়া যায় না। পরে গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৭ টায় এলাকাবাসী খবর দেয় সৌরভের মরদেহ বাড়ির পাশে নদীর ধারে পড়ে আছে। পরে থানা পুলিশকে এলাকাবাসী খবর দিলে তারা মরদেহটি উদ্ধার করে। এ বিষয়ে ওই ইউপি সদস্য প্রার্থীসহ তার লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধিন আছে। নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য সানোয়ার হোসেন বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই হেলাল উদ্দিনসহ তার লোকজন আমার ভাতিজা সৌরভকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। সৌরভের বড় চাচা আব্দুল মজিদ বলেন, ইউপি নির্বাচন তফসিল ঘোষণার পর থেকে বিভিন্ন কায়দার আমার ভাই সানোয়ার হোসেনের ক্ষতিসাধনের চেষ্টা করে আসছিল হেলাল উদ্দিন। নির্বাচন চলাকালে আমাদের বেশকিছু সমর্থককে আহত করাসহ এক সমর্থকের মুরগী খামারে হামলা চালায় হেলাল উদ্দিনসহ তার লোকজন। এছাড়াও হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। গত রোববার (২৮ নভেম্বর) নির্বাচনে সানোয়ার হোসেনের কাছে হেরে যায় সে। সেই পরাজয়কে মেনে নিতে না পারায় সে আমাদের ভাতিজা সৌরভকে দুই পায়ের রগ কেটে ঘাড় মটকিয়ে হত্যা করেছে। এলাকাবাসীরা জানান, নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই নবনির্বাচিত সানোয়ার হোসেনের সাথে দ্বন্দ চলছিল পরাজিত হেলাল উদ্দিনের। স্থানীয়দের ধারণা নির্বাচনী দ্বন্ধকে কেন্দ্র করেই সৌরভকে হত্যা করা হয়েছে। নবনির্বাচিত জয়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওবাইদুর রহমান ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন। এবিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদের অফিসিয়াল মুঠোফোন ০১৩২০-১৩৬৬৫১ নম্বরে যোগাযোগ করলে, তিনি ফোনকলটি রিসিভ করে সাংবাদিক পরিচয় পেয়েই ফোনটি কেটে দেন। পরে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি ফোনকল গ্রহণ করেন’নি। উল্লেখ্য, গত রোববার (২৮ নভেম্বর) দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

মন্তব্য