বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক বলেছেন, স্বৈরাচার হাসিনা সাড়ে ১৫ বছরের দেশটা ধ্বংস করে ফেলছে। মুক্তি যুদ্ধের চেতনার নামে দেশে গণহত্যা চালিয়ে অসংখ্যা মানুষকে গুম করে হত্যা করছে। জনরোষানলে দেশ থেকে ভারতে পালিয়ে গেছে।
আওয়ালীগের নেতাকর্মীদের লজ্জা থাকা উচিত? তাদের নেত্রী ও তার বোন শেখ রেহেনা অসংখ্যা নেতাকর্মীকে বিপদে রেখে পালিয়ে যান। যে নেত্রী অসংখ্যা নেতা কর্মীকে রেখে পালিয়ে যায়, তার নেতাকর্মীরা এই দেশের মানুষকে মুখ দেখায় ক্যামনে? শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে গাইবান্ধা শহরের ইসলাম মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণে দোয়া এবং নৈরাজ্যবাদবিরোধী সমাবেশে এসব কথা তিনি।
মামুনুল হক বলেন, এখন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা ভালো আছেন। তাদের মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা আর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আর কোন হামলা হয় না। শেখ হাসিনা প্রতিহিংসা আর বৈষম্যের রাজনীতি করেছে। আওয়ামী লীগ মোনাফেক শক্তিকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আর পূনর্বাসিত হতে দেওয়া হবে না। সম্প্রদায়িক সম্প্রীতির যে নজির বাংলাদেশে স্থাপন হয়েছে, এটাকে অব্যাহত রাখতে হবে। দেশের ৯০ ভাগ মুসলিমদের চেতনা, তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে যদি সম্মান জানাতে না পারেন এদেশে কোনোদিনও সম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অবস্থান ভালো রাখা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, ২০২১ সালে মোদীকে আমন্ত্রণ জানিয়ে মুসলমানদের রক্তের সঙ্গে উপহাস করা হয়েছিল। তখন হেফাজত ইসলামের প্রতিবাদের প্রেক্ষিতে প্রায় ২০-৩০ জন নেতাকর্মীকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। বাংলাদেশ থেকে আল্লাহ পাক শেখ হাসিনাকে অপসারণ করে আমাদের প্রাণের বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। দেশে পরাজিত শক্তি বসে নেই। কথিত স্বৈরাচার আবার বাংলাদেশের মানুষের বুকের ওপর ছোবল মারার জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ অন্য দেশের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ৭২ এ সংবিধান করে ৫০ বছর পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষের অধিকার হরণ করেছে। এছাড়া গোপালগঞ্জের স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতাকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন তিনি।
সভায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস গাইবান্ধা জেলা শাখার আহ্বায়ক মুফতি আবু ইউসুফ কাশেমীর সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্য বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা ফজলুর রহমান। এছাড়াও জেলা জামায়াতের ইসলামীর জেলা আমীর আব্দুল করিম, মাওলানা আব্দুল বাসেত, গাইবান্ধা ওলামা পরিষদের সভাপতি মুফতি মাহমুদুল হাসানসহ জেলা খেলাফত মজলিস, যুব মজলিস ও ছাত্র মজলিসের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।
মন্তব্য