বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, স্বৈরাচারের পতন হয়েছে কিন্তু ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত রয়েছে। এসব ষড়যন্ত্রের বিষদাঁত ভেঙে দিয়ে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে মানুষের অধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এজন্য আমাদের আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি। গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত বিএনপির আন্দোলন চলবে।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া হাইস্কুল ফুটবল মাঠে কলারোয়া উপজেলা ও পৌর বিএনপি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির ভার্চুয়াল বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন, সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবীব।
প্রতিবেশী দেশের ফাঁদে পা দিয়ে কিছু রাজনৈতিক দল বিভ্রান্ত হয়ে বিভিন্ন কথা বলেছেন দাবি করে তারেক রহমান বলেন, এজন্য আমাদের সজাগ থাকতে হবে। দেশের ভেতরে-বাইরে যারা কলকাঠি নাড়ছে তারা চায় না দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসুক। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ নির্যাতিত হয়েছে। কলারোয়া সাতক্ষীরার মানুষ এর প্রমাণ। দুই যুগ ধরে আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রত্যেক অঞ্চলে যেসব সম্ভাবনা আছে, তা সামনে এনে দেশকে এগিয়ে নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপির রাজনীতি হলো উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতি। আসুন আমরা দৃঢ় শপথ গ্রহণ করি যে, এই দেশের হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।
তিনি আরও বলেন, সম্ভাবনাগুলো বাস্তবায়ন করতে হলে নির্বাচিত সরকার দরকার। জনগণের সরকারই জনগণকে নিয়ে ভাবে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জনগণের ভোটে নির্বাচিত ছিল বলেই কৃষকের জন্য খাল খনন করেছিলেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে বইয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন। জনগণের সরকারই জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবে।
সভায় বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শহিদুল আলম, সাবেক এমপি কাজী আলাউদ্দীন, শাহানারা আক্তার বকুল, সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তারিকুল হাসান, আইনুল ইসলাম নান্টাসহ অনেকে।
মন্তব্য