সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার তিন বছর পূর্ণ না হলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া যাবে না, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) এমন বিধানের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করে রায় দিয়েছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার এ রায় দেয়।
এর আগে এ বিষয়ে পৃথক চারটি রিটে ইতোপূর্বে জারি করা রুলের ওপর গত ৭ নভেম্বর শুনানি শুরু হয়। গত ২৯ নভেম্বর শুনানি শেষে হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণা অপেক্ষমান (সিএভি) রাখে। সোমবার রায় দিল উচ্চ আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তানিয়া আমীর, প্রবীর নিয়োগী ও সাঈদ আহমেদ রাজা। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. শামীম কামাল, মো. আব্দুল মান্নান, আতাউর রহমান প্রধান ও রতন চন্দ্র পন্ডিত নামের চার ব্যক্তি চলতি বছরে পৃথক রিট করেন। ওই রিটে জারি করা চারটি রুলের শুনানি একইসঙ্গে শুরু হয়।
রিটে আইন সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিএসি) স্থানীয় সরকার সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, জনপ্রশাসন সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী (রেসপনডেন্ট) করা হয়।
নির্বাচনে সরকারি চাকরিজীবীদের অযোগ্যতার বিষয়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-১৯৭২ এর ১২ (১) (চ) ধারায় বলা হয়, প্রজাতন্ত্রের বা সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের বা প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগের কোনো চাকরি থেকে পদত্যাগ করেছেন বা অবসরে গেছেন এবং এ পদত্যাগ বা অবসর যাওয়ার পর তিন বছর অতিবাহিত না হয়ে থাকে।
আদালত রায়ে বলেছে, ‘রিটকারীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ না পাওয়ায় সম অধিকার ও মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্নের যে যুক্তি দেখিয়েছেন তা গ্রহণযোগ্য নয়।’
মন্তব্য