অপপ্রচারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদূতদের সতর্ক থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

  • অনলাইন
  • মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই ২০২৩ ১১:০৭:০০
  • কপি লিঙ্ক

রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) ইতালিতে প্রধানমন্ত্রীর সফরকালীন আবাসস্থলে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতদের সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যেন বিভ্রান্ত এবং ভুল তথ্যের শিকার না হয়, সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচিত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের কাছে অপপ্রচার-সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করা। তাহলে মিথ্যা রটনাকারীরা বিভ্রান্তি সৃষ্টির কোনো সুযোগ পাবে না।

তিনি বলেন, যেসব জায়গায় আন্তর্জাতিক সংস্থা রয়েছে সেই জায়গাগুলোতে আমাদের আরও সক্রিয় হওয়া উচিত, যাতে তারাও অপপ্রচার এবং ভুল তথ্যের শিকার হয়ে বিভ্রান্ত না হয় ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছু লোক আছে যারা অপরাধ করে বিদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তারা দেশের বিরুদ্ধে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে। কখনই তারা দেশকে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যেতে পারেনি। তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

এ সময় বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, তারা দেশ থেকে বিপুল অর্থ পাচার করেছে। তারা বিলাসবহুল জীবনযাপন করছে, মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। আমি জানি না তারা এত টাকা কোথায় পায়।

অনেক সময় বিদেশিরা ভুল তথ্যের কারণে বিভ্রান্ত হয় উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, প্রতি নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগকে কীভাবে সরিয়ে দেওয়া যায়, তা নিয়ে দু-একটি দেশ ব্যস্ত থাকে।

শেখ হাসিনা বলেন, যারা খুনিদের আশ্রয় দেয় এবং অগ্নিসংযোগ, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত তাদের কাছ থেকে আমাদের মানবাধিকারের কথা শুনতে হয়। যারা অগ্নিসংযোগের অভিযোগে অভিযুক্ত, তাদের মানবাধিকার রক্ষায় তারা ব্যস্ত।

র‌্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যবশত যারা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে নিয়োজিত তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এর ফলে তারা আস্থা হারিয়ে ফেলে। এটি মানুষকে তাদের অপরাধ প্রবণতা বাড়াতে উৎসাহিত করে।

সরকারপ্রধান বলেন, তারা একদিকে মানবাধিকার সুরক্ষার জন্য আওয়াজ তুলছেন, অন্যদিকে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের পক্ষে কথা বলছেন। এই দ্বিচারিতা চলছে বিশ্বময়।

তিনি বলেন, কেউ মানবাধিকার রক্ষা করলে সেটা আওয়ামী লীগই করে। আর যারা মানবাধিকারের কথা বলে তারা মানুষ হত্যা করে।

দেশের নাম উল্লেখ না করে শেখ হাসিনা বলেন, যারা তার বাবা-মা, ভাই, আত্মীয়-স্বজন ও পরিবারের সদস্যদের গুলি করে হত্যা করেছে তারা এখনও সে দেশে পলাতক রয়েছে। বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তারা খুনিদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠায়নি।

এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : বাসস

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

মন্তব্য