পটুয়াখালী-ঢাকা নৌপথে নাব্যতা সংকট, ঝুঁকিতে লঞ্চ চলাচল

  • অনলাইন
  • সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫ ১০:০১:০০
  • কপি লিঙ্ক

শীত মৌসুমে পটুয়াখালী-ঢাকা নৌপথে নাব্যতা সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। নদ-নদীগুলোর বিভিন্ন স্থানে ডুবোচরের কারণে লঞ্চগুলো প্রায়ই আটকে পড়ছে। ভাটার সময় ঝুঁকি নিয়ে চলছে লঞ্চ চলাচল, যা যাত্রীদের জন্য দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে।

নদীর নাব্যতা সংকটের কারণে লঞ্চগুলো লাউকাঠি, লোহালিয়া, কারখানা এবং কবাই নদীতে প্রায়ই আটকে যায়। নদীতে প্রয়োজনীয় গভীরতা না থাকায় ভাটার সময় লঞ্চ চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়ে। জোয়ারের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়, ফলে যাত্রীরা সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না।
 
পটুয়াখালী নদীবন্দর সূত্রে জানা যায়, নৌপথে ড্রেজিং কার্যক্রম চলছে, তবে তা যথেষ্ট নয়।
 
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রয়োজনীয় বরাদ্দের অভাবে সঠিকভাবে ড্রেজিং করা সম্ভব হচ্ছে না। পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ডিন মো. নুরুল আমিন বলেন, ‘সঠিকভাবে ড্রেজিং না করায় এ সমস্যা তৈরি হচ্ছে।’
 
পটুয়াখালী-ঢাকা নৌপথের যাত্রী মিজানুর রহমান বলেন, ‘জরুরি কাজে ঢাকা যাওয়ার পথে ডুবোচরে লঞ্চ আটকে ছিল, ফলে ছয় ঘণ্টা দেরি হয়।’
 
সাধারণ যাত্রী ও লঞ্চ মাস্টারদের দাবি, দ্রুত ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু করে নৌপথ সচল রাখা হোক।
 
বিআইডব্লিউটিএর সহকারী পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন জানান, নাব্যতা সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। খুব শিগগিরই ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করা হবে।
 
বর্তমানে অভ্যন্তরীণ ১৭টি রুটে ৮টি ছোট লঞ্চ এবং ঢাকা-পটুয়াখালী রুটে মাত্র ৪টি বড় দোতলা লঞ্চ চলাচল করছে, যেখানে আগে এই সংখ্যাটি অনেক বেশি ছিল। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এই নৌপথ আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন লঞ্চ মাস্টাররা।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

মন্তব্য