পড়া-লেখার পাশাপাশি বাড়ির পাশে অনাবাদি জমিতে সূর্যমুখী চাষ করে সবাইকে চমক দেখালেন ফরিদপুর সরকারী কলেজের একাদশ শ্রেনীর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র অপূর্ব বিশ্বাস। এই কলেজ ছাত্র সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের দরগাহ গট্টি গ্রামের বাসিন্দা। বাড়ীর পাশে অনাবাদি ১৩ শতক জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে সুর্যমূখী ফুলের চাষ করেছেন তিনি।
জমিতে সারি সারি অনেক বড় বড় গাছ, গাছের মাথায় ঢালার মতো বড় বড় ফুলগুলো চেয়ে আছে সুর্যের দিকে। এ যেন আকর্ষনীয় একটি দৃশ্য। বিকাল হলেই মানুষ আসছে সুর্যমূখী ফুলের সাথে সেলফি তুলতে।
অপূর্ব বিশ্বাসের সুর্যমূখী ফুল চাষ দেখতে আসা যুবক গৌতম বিশ্বাস ও আলি হাসান বলেন, এলাকার মধ্যে তেমন কোন সুর্যমূখী চাষ নেই। তাই আমরা বন্ধু বান্ধব নিয়ে এসেছি দেখতে এবং সেলফি তুলতে। আমরা অনেক আনন্দ পাচ্ছি। লেখাপড়ার পাশাপাশি এমন চাষাবাদ করা সকলের-ই দায়িত্ব।
কলেজ ছাত্র অপূর্ব বলেন, সূর্যমুখী চাষে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি পূরণ হবে তেলের চাহিদা। সেই লক্ষে আমি নিজ উদ্যেগে বাড়ীর পাশে পরীক্ষামূলক ৩শ থেকে ৪ শ ফুলের চারা রোপন করেছি। তারপর লেখাপড়ার অবসরঃ সময়ে চারাগুলোের পরিচর্যা করেছি। এতো বড় গাছ হবে কখনও ভাবতে পারিনি। বর্তমানে সুর্যমূখী ফুল অনেক সুন্দর হয়েছে৷ আগামী বছর বেশি করে ফুলের চাষ করবো।
সালথার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা সুদীপ বিশ্বাস বলেন, ভোজ্যতেলের স্বয়ং সম্পূর্ণ অর্জনের লক্ষে সূর্যমূখীর আবাদ খুব প্রয়োজন। অপূর্ব বিশ্বাসে মতো লেখা-পড়ার পাশাপাশি সকল যুবককে এগিয়ে আসতে হবে। অপূর্বর মতো যুবকরা ভূমিকা রাখলে আরো এগিয়ে যাবে কৃষি। সুর্যমূখী তেলের গুরুত্ব যখন বুজবে মানুষ, তখন সালথায় বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ শুরু হবে । তখন কৃষকদেরকে সূর্যমুখীর আবাদের জন্য তাদের প্রযুক্তিগত সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে ।
মন্তব্য