গাইবান্ধা সদর উপজেলার প্রাইমারী, হাইস্কুল, মাদরাসা, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুল সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বেঞ্চ সংকট থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠদানে ব্যাহত হচ্ছিল। শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পাঠ গ্রহণের জন্য ৩২ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের নিকট ১০ জোড়া করে ৩শ ৬৪টি উচু-নিচু বসা ও বই রাখার বেঞ্চ বিতরণ করা হয়। তবে গাইবান্ধা বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলে ৫০ জোড়া উচু-নিচু বেঞ্চ বিতরণ করা হয়েছে।
গাইবান্ধা সদর উপজেলা পরিষদ এর বাস্তবায়নে, সদর উপজেলা এলজিইডির কারিগরী সহায়তায় এবং উপজেলা পরিচালনায় ও উন্নয়ন প্রকল্প ( ইউজিডিপি), স্থানীয় সরকার বিভাগ ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি জাইকার সহায়তায় সোমবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিকট উচু নিচু বেঞ্চ বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি গাইবান্ধা সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জননেতা শাহ সারোয়ার কবির।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা খাদেমুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগ ইউডিএফ, ইউজিডিপি কর্মকর্তা অরবিন্দু চন্দ্র রায়, গাইবান্ধা এন, এইচ মর্ডান উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক রেজাউল করিম, কামারজানি মার্চেন্ট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুকুল ইসলাম, কামারজানি কুন্দেরপাড়া গন উন্নয়ন একাডেমি স্কুলের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান, পূর্ব গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, রাশেদ বেগম, কলেজিয়েট মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরজুমান আরা বেগম, বল্লমঝাড় রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাঈদ বিন আহমেদ, ত্রি-মোহনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুন্নাহার শার্মিন।
প্রধান শিক্ষক সাঈদ বিন আহমেদ বলেন, আমার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বেঞ্চের খুবই দরকার ছিল। স্কুলে ৪শ শিক্ষার্থীর জন্য ৮০ জোড়া বেঞ্চ ছিল। বেঞ্চ সংকট থাকায় শিক্ষার্থীদের বসতে অসুবিধা হত। অনেক শিক্ষার্থীকে দাঁড়িয়ে ক্লাস করতে হতো। এখন নতুন বেঞ্চ পেয়ে শিক্ষার্থীদের কষ্ট অনেকটা দূর হবে। নতুন বেঞ্চ পেয়ে আমি আনন্দিত। সে সাথে বাচ্চারাও আনন্দিত হবে। আমি এ জন্য উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা পরিষদকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
প্রধান শিক্ষক কামরুন্নাহার শার্মি বলেন, আমার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বেঞ্চ সংকট থাকায় ১ বছর আগে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এর কাছে আবেদন করেছিলাম। শিক্ষার্থী থেকে বেঞ্চ এর পরিমাণ কম থাকায় শিক্ষার্থীদের গাদাগাদি করে পাঠদান করতে হতো। বিশেষ করে গরমে সমস্যা হতো। নতুন বেঞ্চ গুলো খুব ভাল। এখন নতুন বেঞ্চে মেরুদণ্ড উচু করে বসার জন্য বাচ্চাদের জন্য পারফেক্ট বেঞ্চ।
মন্তব্য