ঈদের আগে চাঁদা না দেওয়ায় সুমনা হাসপাতালের পরিচালক ইমাদুল উদ্দিন আহমেদকে গালিগালাজসহ হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।
শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন ফোন করে পরিচালককে এ গালিগালাজ করেন। শনিবার মুঠোফোনে সুমনা মেডিকেলের পরিচালক ইমাদুল উদ্দিন আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, হাসপাতাল থেকে চাঁদা নেয়ার জন্য সুমনা হাসপাতালে জবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মেহেদী বাবুকে পাঠান সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন ও রবিউল ইসলাম রবিকে পাঠান সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজি।
এরপর হাসপাতালের পরিচালক ইমাদুল উদ্দিন তাদের চাঁদা না দিলে পরে ফোনে সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসাইন গালিগালাজসহ হুমকি প্রদান করেন। এ বিষয়টি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সুমনা হাসপাতালের পরিচালক ইমাদুল উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি এখানে চার বছর এসেছি। আগে এতো (চাঁদাবাজি) হয়নি। মেহেদী বাবু ও কালো করে একটি ছেলেকে পাঠিয়েছিল। আকতারও ফোন দিয়ে গালিগালাজ করেছে। তাকে (আকতার) হয়তো অন্যভাবে বলেছে (বাবু)। এটা হিট ওফ মোমেন্টে করেছে হয়তো। আমরা এমনিই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চিকিৎসায় ছাড় দিই। তার উপর এসব খারাপই হয়।
কত টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছিল জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, এমাউন্ট বলে নাই। চাঁদা চাইছিল। না দেয়ায় আকতার ফোন করে গালি দিয়েছে। পরে জবি ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজি আমাকে ফোন দিয়ে কথা বলেছে, ওরা একটু নরম হয়েছে। মিমাংসার কথা বলেছে।
তিনি আরো বলেন, ইব্রাহীম ফরাজির সঙ্গে কথা হয়েছে। আশা করি, ঝামেলা মিটে যাবে। সাধারণ সম্পাদক একটু উত্তেজিত হয়ে গালি দিয়েছে। তবুও সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি ছেলে গুলো ভালো।
গালিগালাজ ও চাঁদাবাজির বিষয়ে জবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন বলেন, মেহেদী বাবু ঢাকাতে নেই। সে বাড়িতে। ইমাদ সাহেবের নাম্বার আমার কাছে নাই। কোন যোগাযোগও নাই। আমি ওনাকে ফোন করিনি। আমি এক-দেড় বছর সুমনাতে যাই না।
জবি ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী বলেন, এবিষয়ে আমি কিছু জানি না। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগে চাঁদার কোন স্থান নাই। আমরা এগুলোর প্রশ্রয় দিই না। হয়তো আমাদের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ যেতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানকে একাধিকবার ফোন করলেও পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য