ফরিদপুরের সদরপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলার সদর ইউনিয়ননের বাইশরশি ফায়ার সার্ভিস অফিসের সামনে রাস্তার উপর থেকে সোমবার রাতে আহসান হাবিব (২৫) নামের হত্যা মামলার এক পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ৫ আগষ্ট বৈসম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সদরপুর থানা লুট হয়। ৬ আগষ্ট লুট হওয়া অস্ত্র দিয়ে টিকটক করতে গিয়ে নানা বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয় আটরশি গ্রামের মোশাররফ হোসেনের পুত্র পলাশ (১৮)।
এ সময় পলাশ মারাত্বক ভাবে আহত হয় এবং তাকে প্রথমে আটরশি বিশ্ব জাকের মঞ্জিল হাসপাতালে ও পরে ফরিদপুর বঙ্গ বন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে রেপার করা হয়।
উক্ত হাসপাতালে ৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আইসিইউতে পলাশের মৃত্য হয়। এ ঘটনায় নিহত পলাশের মা পারুলী আক্তার বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে সদরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি আহসান হাবিবকে গোপন সংবাদের ভিক্তিতে সদরপুর থানা পুলিশের উপ-পুলিশ পরিদর্শক রাসেল মিয়া ও কাজী মিনারুল সহ একদল পুলিশ তাকে আটক করার উদ্দেশ্যে সদরপুর ফায়ার সার্ভিসের সামনে পাকা রাস্তার উপরে ঘেরাও করলে আসামি আহসান হাবিব দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে।
এ সময় আসামির সাথে পুলিশের ধ্বস্তাধস্তির এক পর্যায় আসামি পুলিশ এসআই রাসেলের নাকে ঘুষি মারলে রাসেলের নাকের বাম পাশে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। অপর এসআই মিনারুল কাজী আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করলে আসামি তাকে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দিয়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। কিন্তু আসামি পালাতে ব্যর্থ হয় এবং অপর পুলিশ এসআই আ. হাদিসহ কর্তব্যরত অন্যান্য পুলিশের হাতে হাতে আটক হয়।
এ ব্যাপারে সদরপুর থানার অফিসার ইমচার্জ মো. আ. মোতালেব জানান, গ্রেপ্তারকৃত আহসান হাবিব পলাশ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত নামীয় আসামি। পুলিশ তাকে ধরতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েও উক্ত আসামিকে ধরতে সক্ষম হয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
মন্তব্য