বিশ্ব ইজতেমা: র‌্যাবের হেলিকপ্টার টহলসহ ৭ স্তরের নিরাপত্তা 

  • অনলাইন
  • বুধবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৪ ০৬:০১:০০
  • কপি লিঙ্ক

বিশ্ব ইজতেমা মাঠসহ আশেপাশের এলাকায় যে কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে র‌্যাব। সংস্থাটির ৫টি ব্যাটালিয়নের সমন্বয়ে আকাশপথে র‌্যাবের হেলিকপ্টার টহল, ডগ স্কোয়াড টিম, ফুট পেট্রোলিং, মোবাইল টিম, টহল টিম, সাইবার মনিটরিং সহ ৭ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে এবার বিশ্ব ইজতেমায়।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে টঙ্গীর কামারপাড়া রোড়ে র‌্যাবের অস্থায়ী ক্যাম্পে বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে ইজতেমা মাঠের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন র‌্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ হোসেন।

এম খুরশীদ হোসেন বলেন, সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে বিশ্ব ইজতেমা আয়োজন নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে র‌্যাব ইজতেমা এলাকাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় নিয়মিত টহল জোরদার ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করতে পর্যাপ্ত সংখ্যক র‌্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

সামগ্রিকভাবে আসন্ন বিশ্ব ইজতেমার নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে র‌্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তর, র‌্যাব-১ সহ ঢাকাস্থ অন্যান্য ৫টি ব্যাটালিয়ন মোতায়েন থাকবে।

যে কোন উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য র‌্যাব প্রস্তুত জানিয়ে তিনি বলেন, যে কোন উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য র‌্যাবের স্পেশাল টিম, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট এবং পর্যাপ্ত স্ট্রাইকিং ও রিজার্ভ ফোর্স সার্বক্ষণিকভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও ইজতেমা উপলক্ষে র‌্যাবের হেলিকপ্টারের মাধ্যমেও টহল প্রদান করা হবে।  

নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমগ্র ইজতেমা ময়দান ঘিরে র‌্যাবের অবজারভেশন পোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। ইজতেমা স্থলে র‌্যাবের পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসিটিভি’র মাধ্যমে সার্বক্ষণিকভাবে সমগ্র ইজতেমা এলাকা মনিটরিং করা হচ্ছে। নৌপথে যেকোন বিশৃংখলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে চলমান টহলের পাশাপাশি সার্বক্ষণিকভাবে নৌ টহল পরিচালনা করা হচ্ছে।

এম খুরশীদ বলেন, যে কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা রোধকল্পে দুই ধাপে আয়োজিত ইজতেমা মধ্যবর্তী সময়ে কঠোর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইজতেমা এলাকার আশে পাশে উচ্ছৃঙ্খলতা, মাদকাসক্ততা, ছিনতাই, পকেটমার, মলমপার্টি ইত্যাদির দৌঁরাত্ম্য কমাতে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ইজতেমা এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা সার্বক্ষণিকভাবে মনিটরিং করতে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া র‌্যাব সদর দপ্তর থেকে সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিং করা হবে। ইজতেমা মাঠ ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকা সমূহে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি ও ইউনিফর্মে টহল বৃদ্ধি করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। পাশাপাশি সুইপিং টিম দ্বারা তল্লাশী কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

বিদেশি মুসল্লীদের নিরাপত্তার জন্য বিদেশি খিত্তা এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধকল্পে সতর্ক দৃষ্টি ও নজরদারি রাখা হয়েছে জানিয়ে র‌্যাবের ডিজি বলেন, ইজতেমামুখী যানবাহন ও যাত্রীদের তল্লাশীর জন্য চেরাগআলী বাসস্ট্যান্ড, টঙ্গী কালীগঞ্জ রোড, উত্তরা নর্থ টাওয়ার এর সম্মুখে এবং আশুলিয়া কামারপাড়া এলাকায় নিয়মিত চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশী কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ইজতেমা এলাকায় র‌্যাবের চিকিৎসা কেন্দ্র সার্বক্ষণিকভাবে সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। র‌্যাবের পর্যাপ্ত সংখ্যক মেডিকেল টিম এবং অ্যাম্বুলেন্সসহ সার্বক্ষণিকভাবে আগত মুসল্লীদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে নিয়োজিত থাকবে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাষ্ট্র ও ধর্ম বিরোধী অপপ্রচার/গুজব রোধে র‌্যাবের সাইবার মনিটরিং টিম অনলাইনে নজরদারি অব্যাহত রাখছে। আসন্ন ইজমেতাকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিনষ্ট করতে কোন স্বার্থান্বেষী মহলের অপচেষ্টা দমন করতে প্রস্তুত রয়েছে ।

উল্লেখ্য, এই বছরও দুই ধাপে ৩ দিন করে ইজতেমা মোট ৬ দিন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রথম ধাপে মাঠে থাকবেন জুবায়ের পন্থী ২-৪ ফেব্রুয়ারি এবং দ্বিতীয় ধাপে সাদ পন্থী ৯-১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

মন্তব্য