জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত অধ্যাপকগণের থেকে কোষাধ্যক্ষ নিয়োগের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিসহ আওয়ামীপন্থী শিক্ষকরা।
বুধবার(১নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে এ দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দেন। এর আগে মঙ্গলবার শিক্ষক সমিতির সাধরণ সভায় জবি আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীলদলের দুপক্ষের এক যৌথ সর্বসম্মতিক্রমে এসব প্রস্তাবনা পাশ করা হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার ট্রেজারার এর মেয়াদ শেষে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত অধ্যাপকগণের মধ্য থেকে উক্ত পদসমূহে (উপাচার্য এবং ট্রেজারার) নিয়োগ প্রদান করার জন্য শিক্ষকবৃন্দ ঐক্যমত প্ৰকাশ করেছেন। এসময় তারা উপাচার্যে মেয়াদ শেষ হলে ওই পদে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক থেকে নিয়োগ দেয়ারও দাবি জানান তারা।
শিক্ষক নেতারা জানান, জবিতে বর্তমানে গ্রেড-১ পদে ৩৬ জন, গ্রেড-২ পদে ৪৬ জন এবং গ্রেড-৩ পদে ৭৪ জন মিলিয়ে সর্বমোট ১৫৬ জন অধ্যাপক আছেন। এর মধ্যে দুজন অধ্যাপককে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে এবং দুজন অধ্যাপককে উপ-উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেছেন এবং তারা সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়াও প্রাইভেট বিশ্বদ্যিালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য পদে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন অধ্যাপক বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন। ফলে নিজ শিক্ষকদেরই যোগ্যতা আছে বলে মনে করেন তারা।
এবিষয়ে জবি নীল দলের একাংশের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান বলেন, বাইরের ভাড়াটিয়া উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষগণ বিশ্ববিদ্যালয়কে নিজের মনে করে না। তারা নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত থাকে। ছাত্রছাত্রীদের সুবিধা বৃদ্ধি ও শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে গুরুত্ব দেয় না।১৮ বছর বয়সী বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়টি আক্ষরিক অর্থে এখনো একটি কলেজের অবকাঠামোর মধ্যে রয়েই গেছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষকগণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন পরিচালনার জন্য সক্ষম ও যোগ্য।
একই কথা বলেন নীলদলের অপর অংশের সভাপতি অধ্যাপক ড. নূর আলম আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের স্বার্থে আমাদের সকলের দাবি এক। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক থেকেই ট্রেজারার নিয়োগ দেওয়া হোক। এছাড়া এ নীলদলের সাবেক সভাপতি ও ডীন অধ্যাপক ড.জাকারিয়া মিয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যে বিষয়ে একমত হয়েছে এটার সাথে আমি একমত। বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক যোগ্য শিক্ষক আছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড.আইনুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে শিক্ষকরা সবাই একমত হয়েছে। শিক্ষকরা তাদের দাবি জানিয়েছে।
মন্তব্য