দীর্ঘ ছয় বছর ধরে সিংহাসনটা সাকিব আল হাসানের দখলে। এবারের বিপিএল দিয়ে সেটা দখলে নিলেন দুর্বার রাজশাহীর তাসকিন আহমেদ।
কোন সিংহাসনের কথা বলা হচ্ছে বুঝতে পারছেন না নিশ্চয়ই। তবে একটা সাধারণ ধারণা করাই যায়, পেসার তাসকিন অলরাউন্ডার সাকিবের যে সিংহাসন দখলে নিতে পারেন, সেটা তো রানের হওয়ার কথা নয়। উইকেটের হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। স্পষ্ট করেই বলা যাক, এটা বিপিএলের এক আসরে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির সিংহাসন।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) ওপেনার স্টেভেন টেলরকে প্রথম ওভারে ফেরানোর পর তাসকিন নেন রংপুর রাইডার্সের সবশেষ উইকেটটিও। নয় নম্বরে নামা রাকিবুল হাসানকে এলবিডব্লিউ করেন বাংলাদেশ পেসার। তাতে বিপিএলের এক আসরে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি বনে যান তাসকিন। দুর্বার রাজশাহীর হয়ে এবার ১১ ম্যাচে ২৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ২০১৮-১৯ মৌসুমে ১৫ ম্যাচে ২৩ উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব।
এবারের বিপিএলে তাসকিন এক ম্যাচে ৭ উইকেটও নিয়েছেন। ২ জানুয়ারি ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ওই ম্যাচে ১৯ রান খরচ করেন তিনি। ওই বোলিং ফিগারটি বিপিএলের ইতিহাসে সেরা তো বটেই, স্বীকৃত টি-টোয়েন্টির ইতিহাসেই তৃতীয় সেরা। আরও যে দুটি সেরা বোলিং ফিগার আছে, সেটাও ৭ উইকেটেরই। তবে চীনের বিপক্ষে মালয়েশিয়ার সিয়াজরুল ইদরুস ৮ ও বার্মিংহ্যাম বিয়ার্সের বিপক্ষে লেস্টারশায়ারের কলিন অ্যাকারম্যান ১৮ রান খরচ করেছিলেন।
বিপিএলের গ্রুপপর্বে দুর্বার রাজশাহীর ম্যাচ বাকি এখনও একটি। অর্থাৎ তাসকিন উইকেট-ট্যালিটা আরও এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন, সবচেয়ে ভালো হয় দল প্লেঅফে উঠলে। তাহলে সম্ভাবনা তৈরি হবে টি-টোয়েন্টির এক সিরিজে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার। গত বছর ভাইটালিটি ব্লাস্টে গ্লুচেস্টারশায়ারের ডেভিড পেইন ও ২০১০ সালে ফ্রেন্ডস প্রভিডেন্ট টি-টোয়েন্টিতে সমারসেটের আলফনসো থমাস ৩৩টি করে উইকেট নিয়েছিলেন, যা সর্বোচ্চ। তবে রাজশাহীর প্লেঅফে উঠার সম্ভাবনা খুবই কম।
যেহেতু এটা স্বীকৃত টি-টোয়েন্টির প্রসঙ্গ, আরেকটা তথ্য জানানো যায়। এই ফরম্যাটে ১৮২ ম্যাচে তাসকিনের উইকেটসংখ্যা হলো ২২৯টি। বাংলাদেশিদের মধ্যে তার চেয়ে বেশি উইকেট আছে আর মাত্র দুজনের। সাকিব ৪৪৪ ম্যাচে নিয়েছেন ৪৯২ উইকেট আর মোস্তাফিজুর রহমানের ২৭৯ ম্যাচে উইকেট ৩৪৭টি।
মন্তব্য