হত্যা মামলার বোঝা মাথায় নিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন সাকিব আল হাসান। তাকে দল থেকে বাদ দিতে বিসিবিকে লিগ্যাল নোটিশও দেওয়া হয়েছিল। যার ফলে দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামা নিয়েও শঙ্কা তৈরি হয়। কিন্তু বিসিবি জানিয়েছে অপরাধী প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত দলে থাকবেন তিনি। এর মধ্যেই আবার শেয়ার বাজারে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে দেশসেরা এই ক্রিকেটারের ওপর।
সাকিবের আয়কর হিসাব, দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত ও মামলার জন্য দুদকে আবেদন করা হয়েছে। বুধবার (২৮ আগস্ট) এই আবেদন করেন ব্যারিস্টার মিলহানুর রহমান নাওমী।
আবেদনে জানানো হয়েছে বাংলাদেশের ৬ প্রতিষ্ঠানে শেয়ার কারসাজিতে সাকিব আল হাসানের নাম জড়িত রয়েছে। যেখান থেকে ১০৪ কোটি টাকা লুট করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
ছয় প্রতিষ্ঠানের নাম ও টাকার পরিমাণ:
১. ফুরচুন সুজ (১৮ কোটি ২৬ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা)
২. এশিয়া ইন্সুরেন্স লিমিটেড (৫ কোটি ৪৫ লক্ষ ১৪ হাজার ৪৫৩টাকা)
৩. এনআরবিসি ব্যাংক (১৮ কোটি ৪০ লক্ষ ৩৮ হাজার ৯৫ টাকা)
৪. ওয়ান ব্যাংক (৪৬ কোটি ৩২ লক্ষ ৩ হাজার ৩৪৪ টাকা)
৫. আইপিডিসি ফাইনান্স লিমিটেড (১২ কোটি ২ লক্ষ ৯৮ হাজার ৪৭৪ টাকা)
৬. বিডিকম অনলাইন লিমিটেড (৩ কোটি ৩৩ লক্ষ ৫৫ হাজার ৯০০)
শেয়ার বাজার বাজার কারসাজি ছাড়া আরও পাঁচটি অপরাধ মূলককাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে সাবেক এই সংসদ সদস্যের উপর।
সেগুলো হলো:
১. নিষিদ্ধ জুয়া ব্যবসা ও জুয়া প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ততা।
২. স্বর্ণ চোরালানিতে সম্পৃক্ততা।
৩. প্রতারণা পূর্বক কাকড়া ব্যবসায়ীদের অর্থ আত্মসাৎ
৪. ক্রিকেট খেলায় দুর্নীতি
৫. নির্বাচনী হলফনামায় ব্যবসা, সম্পদের তথ্য ও আয়ের উৎস গোপনসহ জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জন।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় গার্মেন্টস শ্রমিক রুবেল হত্যার ঘটনায় ২২ আগস্ট রাতে আদাবর থানায় সাকিব আল হাসানের নামে হত্যা মামলা করা হয়।
এছাড়া মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ১৫৬ জনের নাম উল্লেখ করে একই থানায় ৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এই মামলায় ২৮ নম্বর আসামি করা হয়েছে বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ককে। মামলার এজাহারে বলা হয়, তাদের নির্দেশেই গুলি করে হত্যা করা হয় ছাত্র জনতার আন্দোলনে অংশ নেয়া রুবেলকে।
মন্তব্য