'তারেক জিয়ার বাংলাদেশ মানে হত্যা-ধর্ষণের বাংলাদেশ'

  • অনলাইন
  • মঙ্গলবার, ২৯ আগস্ট ২০২৩ ১০:০৮:০০
  • কপি লিঙ্ক

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বলেছেন, গণতন্ত্রের নামে বিএনপি যা করে তা একমাত্র সন্ত্রাসী কার্যক্রম। তারেক জিয়ার বাংলাদেশ অর্থ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বাবা-মায়ের সামনে থেকে মেয়েকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা। ছাত্রলীগ কর্মীকে ১০ টুকরো করে হত্যা করা। 

কয়েকটি উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, তারেক জিয়ার বাংলাদেশ মানে দেশজুড়ে হত্যা-ধর্ষণ। তারেক জিয়ার ও খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ মানে লুটপাটের বাংলাদেশ, দুর্নীতির বাংলাদেশ, ধর্ষণ-হত্যার বাংলাদেশ, পাকিস্তানের বাংলাদেশ। 

মঙ্গলবার বিকেলে সিরাজগঞ্জ শহরের এসএস রোডের আওয়ামী লীগের জেলা কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত শোক ও স্মরণ সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন এসএম কামাল। 

তিনি বলেন, বিদ্যুৎ চোর বলে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বিএনপির উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করে বলেন, আপনারা ক্ষমতায় থাকতে কি ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছিলেন? বরং ৫ হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছেন। বিদ্যুতের দাবি করা মানুষদের গুলি করে মেরেছেন। তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল এখন মিথ্যা ফখরুল হয়ে গেছেন। তিনি সকালে দুপুরে সন্ধ্যায় মিথ্যা কথা বলেন। 

এসএম কামাল বলেন, দেশে প্রথম ভোট চুরি করেছেন জিয়াউর রহমান। গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিলেন, জোর করে ক্ষমতা নিয়েছিলেন, শত শত জোয়ানকে হত্যা করেছিলেন। জিয়াউর রহমান রাজাকারদের গাড়িতে পতাকা তুলে দিয়েছিল। সেই জিয়ার পথ ধরে খালেদা জিয়া বাংলাদেশে জঙ্গি তৈরি করলেন, ব্যালটে ছিল মারা শিখালেন। 

বিএনপি সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সন্ত্রাস বিরোধী কমিটি করতে হবে। যেখানেই বিএনপি জামায়াত সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাবে সেখানেই সন্ত্রাস মোকাবিলা করতে হবে। 

কামাল বলেন, আজকে মরিচ পিয়াজের দাম বেশি। বিএনপির সময়ে একজন রিকশাচালক একদিনের উপার্জনের তিন কেজি চাল কিনতে পারত না, এখন শেখ হাসিনার বাংলাদেশে সেই চালক ১৩-১৪ কেজি চাল ক্রয় করতে পারে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা থাকলে আমরা থাকব, শেখ হাসিনা থাকলে বাংলাদেশ থাকবে, শেখ হাসিনা এগিয়ে গেলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। 

তিনি বলেন, এই আগস্ট মাসেই তারেক জিয়া হাওয়া ভবনে বসে বৈঠক করে হত্যার উদ্দেশ্যে ১৩টি গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছিল। 

সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কে.এম হোসেন আলী হাসানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুস সামাদ তালুকদারের সঞ্চালনায় শোক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য ও সিরাজগঞ্জ-(শাহজাদপুর) আসনের সংসদ সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা, কাজীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয়, সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না, তাড়াশ-রায়গঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য ডা. আব্দুল আজিজ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু ইউসুফ সূর্য, আলহাজ্ব ইসহাক আলী প্রমুখ। 

এ সময় জেলা আওয়ামী লীগ, জেলার সকল অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী এবং সকল উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং উপজেলার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

মন্তব্য