স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বিএনপি ২০১৩-১৪ সালে আন্দোলনের নামে বাস পুড়িয়েছে, মানুষ পুড়িয়েছে। এমনকি জীবজন্তুকেও তারা ছাড় দেয়নি। বিএনপি-জামায়াত আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করেছে আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার্ন হাসপাতাল তৈরি করে মানুষের শুশ্রূষা করেছেন। বিএনপি-জামায়াতের বৈশিষ্ট্যই এটা।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বের) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য এবং পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম ও নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি-জামায়াতের জন্য আন্দোলনের নামে সহিংসতা সৃষ্টি করা নতুন কিছু নয় মন্তব্য করে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, এরা (বিএনপি) এর আগেও সারাদেশে আন্দোলনের নামে আগুন সন্ত্রাস করেছিল। আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আবারও আগের রূপে তারা ফিরতে চাচ্ছে। তবে যারা এই অপকর্মগুলো করছেন তাদের চিহ্নিত করে শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে। যে কোনো ধরনের অশুভ শক্তিকে মোকাবিলা করতে ও সব ধরনের নাশকতা রোধে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।
‘আমাদের দেশে মাদক তৈরি হয় না। পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে সীমান্ত দিয়ে মাদক আমাদের দেশে ঢুকছে। যদিও বর্ডার গার্ড ও কোস্ট গার্ড অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে কাজ করছে তারপরও মাদক আসছে। মিয়ানমার থেকে ইয়াবা এবং ভারত থেকে ফেনসিডিল আসছে। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তবে মিয়ানমারের সঙ্গে কথা বলেও কোনো সুফল মিলছে না। আমরা আমাদের কোস্ট গার্ড ও বর্ডার গার্ডকে আরও শক্তিশালী করছি। ইতোমধ্যে বিজিবিকে শক্তিশালী করতে তাদের হেলিকপ্টার কিনে দিয়েছি। নতুন প্রজন্মকে যদি মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা করতে না পারি, তবে আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো না। এই জন্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন’, যোগ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
মন্তব্য