ক্ষমতাসীনদের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে আন্দোলন করছে বিরোধীদলগুলো। তাদের আরও একটি দাবি হচ্ছে- বর্তমান নির্বাচন কমিশনের পরিবর্তন। টকশোর আলোচনাতেও উঠে এসেছে বিষয়টি। এই পরিস্থিতিতে আগামী সংসদ নির্বাচন করাটা বর্তমান কমিশনের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ।
এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করছে, সরকার বা বিদেশিদের কোনো চাপ নেই।
গণমাধ্যমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা হাজারেরও বেশি নির্বাচন করেছি। নির্বাচনগুলো করতে আমরা কোনো চাপের সম্মুখীন হইনি। আমরা প্রশাসন ও পুলিশের কাছ থেকেও পর্যাপ্ত সহায়তা পেয়েছি। প্রায় সবগুলো নির্বাচনই আনন্দমুখর, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। দু-চারটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে যা অস্বীকার করা যাবে না। এজন্য আমরা অনুতপ্ত।
তিনি বলেন, স্বাধীন বা পরাধীনের বিষয়টা তখন আসে যখন আমাদের উপর চাপ থাকবে। চাপ থাকলে আমরা পরাধীন। আমরা চাপের মধ্যে এখন পর্যন্ত কোনো কাজ করিনি। আমরা যে কাজগুলো করেছি সম্পূর্ণ স্বাধীনতার সঙ্গে। আমরা যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছি সেভাবেই নির্বাচনগুলো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনেক বড় ক্যানভাসে অনুষ্ঠিত হবে। প্রায় ৪২ হাজার কেন্দ্রে ২ লাখ ১০ হাজার বুথ থাকবে এবং নির্বাচন এক দিনেই হবে। এক দিনে এত বড় কর্মযজ্ঞ এটি আমাদেরকে চ্যালেঞ্জের সঙ্গে গ্রহণ করতে হবে। আমরা চেষ্টা করব নির্বাচনগুলো স্বাধীনভাবে করতে। আমরা প্রশাসনকে যে নির্দেশনা দিয়েছি এর সহায়তা নিয়ে নির্বাচনটা সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে চাই।
সিইসি বলেন, আরপিও সংশোধনী আইনটি সরকার বা সংসদ করেনি। হ্যাঁ, তারা আমাদের ইচ্ছের পরিপ্রেক্ষিতে করেছেন। আমাদের পরামর্শে বা আমরা যে খসড়া পাঠিয়েছিলাম এর আলোকেই আইনটি পাস হয়েছে। নিজেই নিজের ক্ষমতা কমিয়ে নেবে এটি শুধু আমরা নই, পৃথিবীর কোনো কমিশনই করবে না। কেউ তার নিজ ক্ষমতা কমায় না। এটি একেবারেই সত্য নয় যে, আরপিও সংশোধনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা কমে গেছে। আমি সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, আরপিওতে আমাদের ক্ষমতা, দায়িত্ব ও জবাবদিহিতাসহ আরও অনেক কিছু স্পষ্ট হয়েছে এবং বেড়েছে। হয়তো বা কেউ কেউ বিষয়টি সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারেনি।
মন্তব্য