অর্থনীতিতে এ বছর নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন আমেরিকার তিন অর্থনীতিবিদ। তারা হলেন ড্যারন অ্যাসেমোগ্লু, সাইমন জনসন এবং জেমস এ. রবিনসন। কোনো প্রতিষ্ঠান কীভাবে গঠন করা হয় এবং সমৃদ্ধির ওপর তা কী প্রভাব ফেলে, তা অধ্যয়নের জন্য সম্মানজনক এই পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তারা।
বাংলাদেশ সময় সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে সুইডেনের স্টকহোম থেকে এ বছরের অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে দ্য রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস।
গত বছর অর্থনীতিতে নোবেল জেতেন মার্কিন অর্থনীতিবিদ ক্লাউডিয়া গোলডিন। শ্রমবাজারে নারী অংশগ্রহণের ফলাফল সম্পর্কে বোঝাপড়ার উন্নতিতে অবদান রাখার জন্য তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। আক্ষেপের বিষয় হলো—তিনি যেদিন পুরস্কার গ্রহণ করেন, সেদিন খুব অল্পসংখ্যক নারীই উপস্থিত ছিলেন। ১৯৬৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৯৩ জনকে নোবেল দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ক্লডিয়া গোল্ডিনসহ নারী মাত্র ৩ জন। বাকি দুজন হলেন—এলিনর অস্ট্রোম এবং এস্তার দুফলো।
এর আগে, চলতি বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছে জাপানে পরমাণু বোমা হামলায় জীবিতদের নিয়ে গড়ে ওঠা পরমাণু অস্ত্রবিরোধী সংগঠন নিহন হিদাঙ্কিও। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে বোমার আঘাত থেকে বেঁচে যাওয়া মানুষদের নিয়ে সোচ্চার তৃণমূল সংগঠনটি স্থানীয়ভাবে ‘হিবাকুশা’ নামেও পরিচিত। গত বছর শান্তিতে নোবেল পেয়েছিলেন ইরানের কারাবন্দী মানবাধিকারকর্মী নার্গিস মোহাম্মদি। দেশটিতে নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে তাঁর লড়াইয়ের স্বীকৃতি হিসেবে তাঁকে এই সম্মানে ভূষিত করা হয়।
এদিকে, চলতি বছর এখন শান্তি ছাড়াও পর্যন্ত চিকিৎসা, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন ও সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার লেখক হান কাং। ‘প্রগাঢ় কাব্যিক গদ্যে ঐতিহাসিক ক্ষত তুলে ধরা এবং মানবজীবনের নাজুক পরিস্থিতির উন্মোচনের জন্য’ তাঁকে বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাবান পুরস্কারের জন্য বেছে নিয়েছে নোবেল কমিটি।
চলতি বছর রসায়নে নোবেল বিজয়ী হয়েছেন তিন বিজ্ঞানী। তারা হলেন—ডেভিড বেকার, ডেমিস হাসাবিস ও জন এম জাম্পার। প্রোটিনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করার কারণে তাদের এ বছর নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। এ ছাড়া, কৃত্রিম ‘নিউরাল নেটওয়ার্কের সাহায্যে মেশিন লার্নিংকে সক্ষম করে তোলার’ মৌলিক আবিষ্কারের জন্য এ বছর পদার্থে নোবেল পেয়েছেন এআই গডফাদার হিসেবে পরিচিত জিওফ্রে হিনটন এবং জন হপফিল্ড।
তার আগের দিন চিকিৎসায় নোবেল জেতেন ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রাভকুন। মাইক্রো-আরএনএ আবিষ্কার এবং পোস্ট-ট্রান্সক্রিপশনাল (জিনের প্রতিলিপির পর) জিন নিয়ন্ত্রণে মাইক্রো-আরএনএর ভূমিকা আবিষ্কারের জন্য যৌথভাবে তাদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য