ইসরায়েল যখন ভূমি থেকে অভিযান শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে ঠিক তখনই আরও ১৫০ রকেট ছুড়ল হামাস। শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) ইসরায়েলের আশকেলন শহর লক্ষ্য করে এসব রকেট ছোড়া হয়।
হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসেম ব্রিগেড জানান, ফিলিস্তিনের বেসামরিক নাগরিকদের বাস্তুচ্যুত ও লক্ষ্যবস্তু করার প্রতিক্রিয়ায় এই রকেট হামলা চালানো হয়েছে।
এদিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১১ লাখ বাসিন্দাকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে জাতিসংঘকে এ কথা জানানো হয়েছে।
তবে হামাসের রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ব্যুরোর প্রধান বাসেম নাইম বলেছেন, গাজার ফিলিস্তিনিরা তাদের মাতৃভূমি ছেড়ে কোথাও যাবে না।
তিনি বলেন, আমাদের কাছে দুটি বিকল্প আছে। হয় এই দখলদারিত্বকে পরাস্ত করব, নতুবা বাড়িতেই প্রাণ দেব। আমরা গাজা ছেড়ে কোথাও যাচ্ছি না। আমরা আরেকটি নাকাবার পুনরাবৃত্তি হতে দেব না।
এদিকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরাকের রাজধানী বাগদাদ ও জর্ডানে বিক্ষোভ হয়েছে। শিয়া নেতা মোক্তাদা সদর এর আহ্বানে বাগদাদের তাহরির স্কায়ায়ে হাজার হাজার মানুষ হাজির হয়ে বিক্ষোভ করে এবং ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দেয়। একইভাবে ইসরায়েল সীমান্তের দিকে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শত শত জর্ডান নাগরিক। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশেরও বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ইসরায়েলও পাল্টা আক্রমণ করে। এরপর থেকে দুই পক্ষের সংঘাত চলছেই।
চলমান এই সংঘাতে হামাসের হামলায় অন্তত ১ হাজার ৩০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় ইতোমধ্যে গাজায় এক হাজার ৫৩৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৫০০ শিশু ও ২৭৬ জন নারী রয়েছেন। পাশাপাশি আহত হয়েছেন ৬ হাজার ৬১২ জন ফিলিস্তিনি। সূত্র: আল-জাজিরা
মন্তব্য