মালদ্বীপ থেকে সিঙ্গাপুরে রওনা দিলেন গোতাবায়া

  • ডেস্ক
  • বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই ২০২২ ০১:০৭:০০
  • কপি লিঙ্ক

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে মালদ্বীপ থেকে সিঙ্গাপুরে রওনা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে তিনি সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা দেন।

বুধবার (১৩ জুলাই) রাতেই সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে মালদ্বীপ থেকে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার কথা ছিল গোতাবায়ার। কিন্তু নির্ধারিত ফ্লাইটে তিনি সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে মালদ্বীপ ত্যাগ করতে পারেননি। ব্যক্তিগত উড়োজাহাজের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছিল তাকে।

এর আগে মালদ্বীপের একটি সূত্রের বরাতে ডেইলি মিরর জানায়, গোতাবায়া, তার স্ত্রী ও দুই নিরাপত্তারক্ষী মালদ্বীপের রাজধানী মালে থেকে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের এসকিউ ৪৩৭ ফ্লাইটে করে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নিরাপত্তাসংক্রান্ত উদ্বেগ থেকে তারা আর এ ফ্লাইটে ওঠেননি।

নিজ দেশে বিক্ষোভের মুখে পড়ে গত মঙ্গলবার রাতে একটি সামরিক বিমানে দেশ ছেড়ে মালদ্বীপে পালিয়ে যান তিনি। মালদ্বীপে গেলে সে দেশে বসবাসরত শ্রীলঙ্কার বাসিন্দারা তাকে তাড়াতে বিক্ষোভ করেন। তাদের সঙ্গে মালদ্বীপের সাধারণ লোকজনও দেশটির সরকারের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এমন ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যে বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) তিনি মালদ্বীপ ছাড়তেও বাধ্য হন।

গোতাবায়া রাজাপাকসে শ্রীলঙ্কা ছাড়ার সময় প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের কাছে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দেয়ার ঘোষণা দিয়ে যান। এরপর পার্লামেন্টের স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবর্ধন রনিলকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করেন। 

এ ঘোষণায় বিক্ষুদ্ধ জনগণ কারফিউ উপেক্ষা করে রাজপথে নেমে আসে এবং রনিল বিক্রমাসিংহেরও পদত্যাগে দাবিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, গোতাবায়া ও রনিল দুজনকেই পদত্যাগ করতে হবে। বিক্ষোভকারীরা অবিলম্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের দাবি জানান। বিক্ষোভকারীরা ‘ফিরে যাও রনিল, ফিরে যাও গোতা’ এসব স্লোগান দিতে থাকে।

এদিকে কলম্বো গেজেটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গোতাবায়া রাজাপাকসে এখনো তার পদত্যাগপত্র জমা দেননি।

বুধবার (১৩ জুলাই) দেশটির পার্লামেন্টের স্পিকারের কাছে গোতাবায়ার পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেয়ার কথা ছিল। স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবর্ধন জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ার টেলিফোনে কথা হয়েছে। তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেবেন।

অর্থনৈতিক সংকটের কারণে দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে গত মার্চ থেকে বিক্ষোভ চলছে। দেশটির রাজনৈতিক নেতারা এই ধাক্কা সামলানোর চেষ্টা করছেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

মন্তব্য