ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় মুক্তিপণ না পেয়ে ফাতেহা নামে সাত বছরের শিশুকে গলা টিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শিশুটি বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দরিয়াদৌলত ইউনিয়নের শুঁটকিকান্দি গ্রামের বাছেদ মিয়ার মেয়ে। সে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণিতে পড়ত।
এ ঘটনায় সোমবার রাতে দুই অপহরণকারীকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সকালে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম ও বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতাররা হলেন একই উপজেলার দরিয়াদৌলত গ্রামের রাজ্জাক মিয়ার ছেলে নাজিম ও শুঁটকিকান্দি গ্রামের মমিন মিয়ার ছেলে আলাউদ্দিন। সম্পর্কে তারা ফাতেহার ফুফাতো ও চাচাতো ভাই।
পরিবারের বরাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিরাজুল ইসলাম জানান, ৩০ আগস্ট বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় ফাতেহা। পরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর করেও তার সন্ধান পাচ্ছিল না পরিবার। এক দিন পর ১ অক্টোবর অপহরণকারীরা ফাতেহার বাবাকে ফোন করে তাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে জানায়। পরে বাছেদ মিয়ার কাছে মুক্তিপণ বাবদ ৪ লাখ টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। এ অবস্থায় বাছেদ মিয়া পুরো বিষয়টি বাঞ্ছারামপুরের ওসি নূরে আলমকে অবগত করেন। পরে পুলিশ অপহরণকারীর ফোন নম্বর ধরে বিষয়টির তদন্ত শুরু করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘ফোনকলের রেশ ধরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গতকাল রাতে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের ফোনে শিশুটিকে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবি সংক্রান্ত চ্যাটিং (বার্তা আদান প্রদান) পাওয়া গেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। পরে তাদের তথ্যের আলোকে পাশের ডোবার পানিতে থাকা কচুরিপানার নিচ থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় শিশুর মা রুমা আক্তার মঙ্গলবার সকালে বাদী হয়ে বাঞ্ছারামপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য